Date : 2024-05-19

তৃতীয় দফার চার আসন। ১৯ এর ভোটের হার কি পার করতে পারলো ২৪

মঙ্গলবার তৃতীয় দফার নির্বাচনে রাজ্যে যে চারটি আসনে ভোট হলো সেখানে ২০১৯ এর নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছিলো ৮১.৬২ শতাংশ। যদিও ২০২১ এ এই চারটি লোকসভার মোট ২৮ টি বিধানসভার সার্বিক ভোটের হার ছিলো ৮২.২৪ শতাংশ।

সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃলোকসভা নির্বাচন হোক বা বিধানসভা, বরাবরই পশ্চিমবঙ্গে ভোটের হার থাকে দেশের বাকি অংশের থেকে অনেকটাই বেশি। সেই ধারা বজায় থাকার সম্ভাবনা এই লোকসভা নির্বাচনেও। যদিও সর্বশেষ (বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত) পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই চারটি আসনে মোট ভোট পড়েছে ৭৩.৯৩ শতাংশ।

মঙ্গলবার যে চারটি আসনে ভোট হলো তারমধ্যে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮৪.২৮ শতাংশ ভোট পড়েছিলো মুর্শিদাবাদ আসনে। আর ২০২১ এ এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার নিরিখে ভোটের হার ছিলো ৮৬.২৮ শতাংশ। এবার সকাল থেকেই একের পর এক অভিযোগ এসেছে এই মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকেই। তবে দিনের শেষে অতীতের ধারা বজায় রেখে এবার‌ও এই চার কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৬.৪৯ শতাংশ (বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত) ভোট পড়লো মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রেই।

এছাড়া মালদহ উত্তর কেন্দ্রে ২০১৯ এ ভোট পড়েছিলো ৮০.২৮ শতাংশ। আর ২০২১ এ সাতটি বিধানসভা মিলিয়ে মোট ভোট ছিলো ৮০.৬৭ শতাংশ। মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৩.৩০ শতাংশ। মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে ২০১৯ ও ২০২১ এ ভোটের হার ছিলো যথাক্রমে ৮১.০৬ ও ৮১.৭৭ শতাংশ। এবার শতাংশের সেই হার হলো ৭৩.৬৮ শতাংশ। পাশাপাশি জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও ২০১৯ ও ২০২১ এ ভোটের হার ছিলো যথাক্রমে ৮০.৭২ ও ৮০.০৭ শতাংশ। ভোটের নিরিখে এবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোটের হার ৭২.১৩ শতাংশ।

এই পরিসংখ্যান অবশ্য মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। এদিন ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হ‌ওয়ার পর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব এই ভোটের হার প্রসঙ্গে বলেন, “এখন হয়তো মনে হচ্ছে ভোটের হার কম। কিন্তু মনে রাখতে হবে এটা বিকাল পাঁচটার তথ্য। ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হ‌ওয়ার পর সব তথ্য আমাদের কাছে পৌঁছালে এই পরিসংখ্যান অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী। আগামী কাল ফাইনাল টার্ণ আউট আমরা বলতে পারবো।” ভোট গ্রহণ পর্ব মিটে যাওয়ার পর সর্বশেষ (ফাইনাল) ভোটের হার পেতে পেতে বুধবার দুপুর গড়িয়ে যেতে পারে। ফলে কমিশন মনে করছে ২০১৯ এর ভোটের হারকে ছাপিয়ে যাবে এবারের নির্বাচন।

আরও পড়ুন : ‘র‍্যাপ’ দিয়ে ভোট বৈতরণী পারের চেষ্টা বামেদের