সোমবার রাজ্যের আট টি আসনে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৫.৬৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ৭৭.৭৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বোলপুর লোকসভা আসনে আর সবচেয়ে কম ৬৯.৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে আসানসোল কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রগুলোর ভোটের সর্বশেষ শতাংশের হার জানা যাবে মঙ্গলবার দুপুরের পর।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- প্রথম তিন দফার তুলনায় চতুর্থ দফায় এসে রাজ্যের আট আসনে ভোটের হার রইল একই রকম। এদিন অধীর চৌধুরী থেকে দিলীপ ঘোষ, মহুয়া মৈত্র, শত্রুঘ্ন সিনহা, ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ সহ একের পর এক হেভিওয়েট প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হলো। সকাল থেকে বেশ কিছু জায়গা থেকে হিংসা, অশান্তির খবর এলেও একেবারে ভোট বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি কোথাও তৈরি হয় নি। এদিন আটটি লোকসভার অন্তর্গত ৫৬ টি বিধানসভায় ভোটের হার নিম্নরূপ।
১০ নম্বর বহরমপুর কেন্দ্রে সোমবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৫.৩৬ শতাংশ। এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভায় ভোটের হার বড়ঞাঁ৭৫.১০ শতাংশ, কান্দি ৭৩.৪৫ শতাংশ, ভরতপুর ৭২.৭২ শতাংশ, রেজিনগর ৭৫.৩১ শতাংশ, বেলডাঙা ৭৬.১৯ শতাংশ, বহরমপুর ৭৬.৯৩ শতাংশ ও নওদায় ভোট পড়েছে ৭৭.৬০ শতাংশ।
১২ কৃষ্ণনগর লোকসভায় বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৭.২৯ শতাংশ। এর মধ্যে সাতটি বিধানসভায় ভোটের হার হলো তেহট্টে ৭৯.৫৮ শতাংশ, পলাশিপাড়া ৭৫.২৫ শতাংশ, কালীগঞ্জ ৭৬.৩৫ শতাংশ, নাকাশিপাড়া ৭৬.৩৯ শতাংশ, চোপড়া ৭৫.৭৪ শতাংশ, কৃষ্ণনগর উত্তর ৭৮.৩৬ শতাংশ ও কৃষ্ণনগর দক্ষিণে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৯.৫২ শতাংশ।
১৩ রানাঘাট আসনে ভোটের হার ৭৭.৪৬ শতাংশ। এই কেন্দ্রের বিধানসভা ওয়াড়ি ভোটের হার হলো নবদ্বীপ ৮১.২০ শতাংশ, শান্তিপুর ৭৯.১৫ শতাংশ, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম ৭৬.৮৫ শতাংশ, কৃষ্ণগঞ্জ ৭৮.০১ শতাংশ, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব ৭৪.০১ শতাংশ, রানাঘাট দক্ষিণ ৭২.৮৩ শতাংশ এবং চাকদায় ৮১.১২ শতাংশ ভোট পড়েছে বিকেল পাঁচটা অবধি।
৩৮ বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৭.৩৬ শতাংশ এবং এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভায় ভোটের হার রায়না ৭৮.৪১ শতাংশ, জামালপুর ৮১.২৯ শতাংশ, কালনা ৮০.১৪ শতাংশ, মেমারি ৭৭.২৪ শতাংশ, পূর্বস্থলী দক্ষিণ ৭৭.২৫ শতাংশ, পূর্বস্থলী উত্তর ৭৩.১৫ শতাংশ এবং কাটোয়ায় বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৪.৬০ শতাংশ।
৩৯ বর্ধমান-দুর্গাপুরে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৫.০২ শতাংশ। এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভায় ভোটের হার বর্ধমান দক্ষিণ ৭৪.০৯ শতাংশ, মন্তেশ্বর ৭৭.৩১ শতাংশ, বর্ধমান উত্তর ৭৯.১২ শতাংশ, ভাতার ৭৩.৫৪ শতাংশ, গলসি ৭৫.৬৩ শতাংশ, দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রে ৭২.৬০ শতাংশ, দুর্গাপুর পশ্চিমে ৭২.৭০ শতাংশ।
৪০ নম্বর আসানসোলে ভোটের হার ৬৯.৪৩ শতাংশ। এই কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভায় ভোটের হার পাণ্ডবেশ্বর ৭১.২১ শতাংশ, রানীগঞ্জ ৭১.২৫ শতাংশ, জামুরিয়া ৭১.১৯ শতাংশ, আসানসোল দক্ষিণ ৬৬.৫০ শতাংশ, আসানসোল উত্তর ৬৭.৭০ শতাংশ, কুলটি ৬৮.২৪ শতাংশ ও বরাবনী বিধানসভা এলাকায় ভোট পড়েছে ৭০.৯৫ শতাংশ।
৪১ বোলপুর আসনে এদিন বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৭.৭৭ শতাংশ। এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভায় ভোটের হার কেতুগ্রামে ৭৪.২৯ শতাংশ, মঙ্গলকোটে ৭৭.৬০ শতাংশ, আউসগ্রাম ৭৪.৪৮ শতাংশ, বোলপুর ৭৮.৭৫ শতাংশ, নানুর ৭৮.৪৫ শতাংশ, লাবপুর ৮২.১৫ শতাংশ ও ময়ুরেশ্বরে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৮.৮৪ শতাংশ।
৪২ বীরভূমে ভোট পড়েছে ৭৫.৪৫ শতাংশ। এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার ভোটের হার হলো দুবরাজপুরে ৭৮.০০ শতাংশ, সিউড়ি ৭৯.২৫ শতাংশ, সাঁইথিয়া ৭৯.৮০ শতাংশ, রামপুরহাট ৭৩.১৫ শতাংশ, হাসন কেন্দ্রে ৭২.২৫ শতাংশ, নলহাটি ৭২.৭৫ ও মুরারই ৭৩.০০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ভোটের এই হার সোমবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। ফাইনাল ট্রেন্ড পেতে পেতে মঙ্গলবার দুপুর গড়িয়ে যাবে। তবে প্রথম তিন দফার মতো বলা যায় চতুর্থ দফাতেও রাজ্যে ভোটের হার গতবারের তুলনায় বাড়ার সম্ভাবনা কম।
আরও পড়ুন : প্রকাশিত হল সিবিএসই -র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ফল