শনিবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত রাজ্যের আট আসনে মোট ৭৭.৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ও সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে পুরুলিয়া কেন্দ্রে।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- শনিবার রাজ্যের যে আট আসনে ভোট গ্রহণ পর্ব চলছে তাতে সকাল থেকেই ভোট পড়ার প্রবনতা বেশ ভালোই ছিলো। অন্ততঃ আগের পাঁচ দফার থেকে ভোটের হার এই দফায় বেশির দিকেই যাচ্ছিলো। প্রতি দুই ঘন্টা অন্তর কমিশন ভোটের হার জানায়। সেই হিসাবে বিকাল তিনটার মধ্যেই ৭০.১৯ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছিলো। মনে করা হচ্ছিল যে বিকাল পাঁচটার মধ্যে এই হার আশি, বিরাশি শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে এবং ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হলে অর্থাৎ সন্ধ্যা ছ’টার পর এই হার ২০১৯ এর হারকে ছাড়িয়েও যেতে পারে। তবে কিছুটা অবাক করেই দেখা গেল যে এদিন শেষ দুই ঘন্টায় মাত্র ৯.৬০ শতাংশ ভোট বেড়েছে।
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন বা ২০২২ এর বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে যা অনেকটাই কম। এদিন বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ৩০,তমলুক লোকসভায় ভোট পড়েছে ৭৯.৭৯ শতাংশ। যেখানে ২০১৯ ও ২০২২ সালে ভোটের হার ছিলো যথাক্রমে ৮৪.৭১ শতাংশ ও ৮৮.১৪ শতাংশ। ৩১,কাঁথি-তে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৫.৬৬ শতাংশ। এই কেন্দ্রে ২০১৯ ও ২০২২ সালে ভোটের হার ছিলো ৮৫.২৮ শতাংশ ও ৮৭.৮৩ শতাংশ। ৩২,ঘাটাল লোকসভায় ৭৮.৯২ শতাংশ। ২০১৯ ও ২০২২ এর হিসাব হলো ৮২.৭০ শতাংশ ও ৮৪.৮১ শতাংশ। ৩৩,ঝাড়গ্রাম আসনে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটের হার ৭৯.৬৮ শতাংশ। এখানে ২০১৯ ও ২০২২ এ ভোট পড়েছিলো ৮৫.৪৭ ও ৮৬.৮২ শতাংশ। ৩৪,মেদিনীপুর আসনে ৭৭.৫৭ শতাংশ ভোট পড়েছে শনিবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। ২০১৯ ও ২০২২ এ এই কেন্দ্রের ভোটের হার ছিলো যথাক্রমে ৮৪.১৩ শতাংশ ও ৮৪.৯৭ শতাংশ। ৩৫,পুরুলিয়া লোকসভায় ভোট পড়েছে ৭৪.০৯ শতাংশ। এই কেন্দ্রেও ২০১৯ বা ২০২২ এ ভোট পড়েছিলো অনেকটাই বেশি। ভোটের হার ছিলো যথাক্রমে ৮২.২৮ ও ৮১.৮৬ শতাংশ। ৩৬,বাঁকুড়া কেন্দ্রে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটের হার হলো ৭৬.৭৯ শতাংশ। ২০১৯ ও ২০২২ এর ভোটের হার হলো ৮৩.১৫ শতাংশ ও ৮৪.২২ শতাংশ। এদিনের ভোটে এখনও পর্যন্ত (বিকাল পাঁচটা) রাজ্যের আট আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে। একমাত্র এই কেন্দ্রই ৮০ শতাংশের ঘর পার করেছে। সেখানে এদিন বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮১.৪৭ শতাংশ। এই কেন্দ্রে ২০১৯ ও ২০২২ সালের ভোটের হার ছিলো যথাক্রমে ৮৭.৩৯ শতাংশ ও ৮৯.১৪ শতাংশ। সন্ধ্যা ছয়টায় ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পর ভোটের এই হার বেশ কিছুটা বাড়বে বলেই মত কমিশনের, তবে তা ২০১৯ কে ছোঁবে বা ২০২২ এর ভোটের হারের কাছাকাছি পৌঁছাবে কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না কমিশন। এদিন বিকালের পর থেকে বৃষ্টির কারণে ভোটের হার কিছুটা স্লথ হয়েছে বলেই অবশ্য মত অনেকের।
আরও পড়ুন : কমিশনের ফুটেজ প্রার্থীর কাছে এল কি করে ! তদন্তের নির্দেশ কমিশনের