সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: চলছে লোকসভা নির্বাচন। এরই মধ্যে গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী আলমগীর আলমের। তাঁর ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালকে আগেই গ্রেফতার করে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মন্ত্রীর সচিবের বাড়ি উদ্ধার হয় ৩৫ কোটি টাকা। এবার খোদ মন্ত্রীকেও গ্রেফতার করে ইডি। বুধবার সারাদিন যাবৎ জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলমের নিজের দফতরের আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্তে রাঁচি শহরের একাধিক এলাকায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তল্লাশির তালিকায় ছিল মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের পরিচারকের একটি ফ্ল্যাট। ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। মন্ত্রী আলমগীরের এই দুর্নীতির সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে বলেই ইডি আধিকারিকদের অনুমান। সচিবকে গ্রেফতারের পরই তলব করা হয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী আলমগীরকে। তিনিও গ্রেফতার হন।
গ্রেফতারের আগে মন্ত্রী ইডি অফিসে ঢোকার সময় বলেন, কিছু বিষয় জানতেই তাঁকে ডাকা হয়েছে। তবে এরপর কেটে যায় প্রায় ১০ ঘণ্টারও বেশি সময়। অবশেষে জানা যায় গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রীকে। যদিও এই গ্রেফতারিকে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করেন আলমগীর। গ্রেফতারীর পর তিনি বলেন, ভোটের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে গ্রেফতার করা হল। মানুষ বুঝতে পারছে, কী হচ্ছে! গত বছর ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে টাকা তছরূপ করার অভিযোগ ওঠে দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কে রামের বিরুদ্ধে। ওই বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসে চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করে ইডি। সেই সূত্র ধরেই রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী আলমগীর আলম এবং তাঁর ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের খোঁজ মেলে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : হঠাৎ অবসর ভারত অধিনায়কের। এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট আবেগপূর্ণ বার্তা