নির্বাচনী আবহে ভোটারদের প্রলুব্ধ করার ক্ষেত্রে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলো নির্বাচন কমিশন। ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জাতীয় ও রাজ্য স্তরের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করে পাঠানো হলো নির্দেশিকা।
সঞ্জু সুর, সাংবাদিক : ভোট এলেই ভোটারদের জন্য গুচ্ছের প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জলভাত। ভোটে জিতলে কি করবো, কোন কোন সুবিধা ভোটাররা পাবেন সেটা তারা (রাজনৈতিক দলগুলো) নিজেদের ইলেকশন ম্যানিফেস্টো বা নির্বাচনী ঘোষণা পত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করে। কিন্তু এর বাইরে গিয়েও ভোটের প্রচারে গিয়ে অনেক সময় কোন প্রার্থী বা সার্বিকভাবে কোনো রাজনৈতিক দল এমন কিছু কথা বলেন যা ভোট পরবর্তী সময়ে নতুন করে ভোটারদের দেওয়া হবে বলে জানান। এই জায়গাতেই আপত্তি নির্বাচন কমিশনের।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে কমিশনের কাছে এই বিষয়ে গুচ্ছের অভিযোগ জমা পড়েছে। সেসব খতিয়ে দেখার পর কমিশন নতুন করে রাজনৈতিক দলগুলো কে সতর্ক করেছে। ২ মে কমিশনের জারি করা এই নির্দেশিকা অনুযায়ী কোনও প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দল (জাতীয় বা রাজ্য স্তরের) নিজেদের ঘোষণাপত্রের বাইরে গিয়ে ভোটারদের প্রলুব্ধ করার জন্য নতুন কোনো প্রকল্প বা সুবিধা প্রদানের কথা বলতে পারবে না। এই সংক্রান্ত কোনোরকম বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না। প্রচারের সময় ভোটারদের এটা বলা যাবে না যে কোনও নির্দিষ্ট অ্যাপে বা পোর্টালে গিয়ে নাম লেখান। ভোটে জিতলে আপনাদের (যারা নাম নথিভুক্ত করবেন) এই কাজটা করে দেওয়া হবে। ভোটারদের কে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সহ আবেদন করতে বলা যাবে না। তাদের নাম, বয়স, ফোন নম্বর, লোকসভা কেন্দ্রের নাম, বুথের নম্বর ইত্যাদি উল্লেখ করে নির্দিষ্ট কোনও অ্যাপে বা পোর্টালে বা নির্দিষ্ট কোনো আবেদন পত্রের মাধ্যমে এই ধরনের আবেদন করার কথা বলা যাবে না।
কমিশন মনে করছে এই ধরনের আবেদন করার কথা বলা মানেই ভোটারদের একপ্রকার ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করা। ঘুষের বিনিময়ে ভোট কেনার প্রচেষ্টা। অতীতে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে যেমন ভোটারদের অ্যাকাউন্টে পনেরো লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো ঠিক তেমনি এবারের নির্বাচনে ভোটারদের আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার মতো প্রতিশ্রুতির কথাও সামনে এসেছে। কমিশন ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৩(১) ধারার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার কথা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন ;- তারকা প্রচারক। খায় না মাথায় দেয়। জানেন কি ?