সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: প্রত্যেক মা-বাবারই স্বপ্ন থাকে সন্তানকে নিয়ে। রাজেন্দ্র মিনার পরিবারেরও সেই রকমই স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্নভঙ্গ হল ছেলের মেসেজ পেয়ে। রাজস্থানের বামনওয়াসের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা বছর ১৯-এর রাজেন্দ্র মিনা মা- বাবার উদ্দেশ্যে মেসেজ করে,”সে আর পড়তে চায় না”। মেসেজের পরই উধাও হয়ে যায় রাজেন্দ্র। কোটায় পেয়িং গেস্ট থেকে ডাক্তারি নিটের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল রাজেন্দ্র। পড়াশোনার বোঝা বইতে না পেরে উধাও হয় রাজেন্দ্র। নিজেই মোবাইলবার্তা দিয়ে বাবাকে নিরুদ্দেশ হওয়ার কথা জানায় রাজেন্দ্র। মেসেজে তিনি লেখেন, “আমি ঘর ছাড়ছি এবং আর পড়াশোনা করতে চাই না। আমার কাছে ৮ হাজার টাকা আছে। ৫ বছরের জন্য নিরুদ্দেশ হচ্ছি। মোবাইল ফোনটা বিক্রি করে দেব। সিম কার্ড ভেঙে ফেলব। মাকে বলে দিও আমার জন্য যেন চিন্তা না করে। আমি কোনও ভুল পদক্ষেপ নেব না। সবার নম্বর আছে আমার কাছে। প্রয়োজন হলে আমি নিজেই ফোন করব। অবশ্যই বছরে অন্তত ১ বার ফোন করব।” রাজেন্দ্রর বাবা জগদীশ মিনা ছেলেকে খোঁজার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হন। নিখোঁজ ডাইরি করেন।
গত ৬ মে থেকে রাজেন্দ্র নিখোঁজ। রাজস্থানের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা হলেও পড়াশোনার জন্য কোটাতে পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকতেন রাজেন্দ্র। সেখান থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান বলে জানা গেছে। পরিবারের উচ্চাশা পূরণের লক্ষ্যে “কোটা ফ্যাক্টরি”তে দেখা গেছে মৃত্যু মিছিল। চলতি বছরেও রাজস্থানের কোটা শহরে ছাত্র মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। সবগুলোই আত্মহত্যার ঘটনা। রাজেন্দ্রর ঘটনা এরই মধ্যে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।
আরও পড়ুন : গাঁজা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের