শনিবার রাজ্যে ষষ্ঠ দফায় ভোট রয়েছে আট আসনে। এই দফায় ভোট হবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও তমলুক আসনে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন এই আট আসনে ভোটের জন্য মোট ৯১৯ কোম্পানি কেন্দ্রিয় বাহিনীর পাশাপাশি প্রায় ৩০ হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে অন্যান্য জায়গায় যেখানে দুই থেকে ছয় হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকছে সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় রাজ্য পুলিশ থাকছে মাত্র ৭১৪ জন।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- এবারের ভোটে হিংসা ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকেই একের পর এক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নজিরবিহীন ভাবে প্রতিটা দফাতেই (এখনও পর্যন্ত হয়ে যাওয়া পাঁচ দফা তে) রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রিয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে হাজার হাজার রাজ্য পুলিশ। প্রথম পাঁচ দফার নির্বাচনের পর বলা যায় শান্তিপূর্ণ ভোট করার বিষয়ে কমিশন অবশ্যই সফল। ষষ্ঠ দফার জন্যেও কমিশনের প্রস্তুতি সারা। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী শনিবারের ভোটে আটটি আসনের জন্য মোট ৯১৯ কোম্পানি কেন্দ্রিয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ বাহিনী থাকছে ২৯,৪২৮।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই দফায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুটি আসনের জন্য এত কম সংখ্যক রাজ্য পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে। যদিও এই দুই কেন্দ্রের জন্য মোট ২৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রিয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে তবে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে মাত্র ৭১৪ জন। এই দফাতেই বাঁকুড়া জেলার দুটি আসনের (বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর) জন্য মোতায়েন কেন্দ্রিয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের সংখ্যা হলো যথাক্রমে ১৭৮ কোম্পানি ও ৬৫২১ জন। ঝাড়গ্রাম জেলার জন্য কেন্দ্রিয় বাহিনী থাকছে ১৩৩ কোম্পানি ও রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকছে ২৪৩৬ জন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কেন্দ্রিয় বাহিনী থাকছে ২১৮ কোম্পানি ও রাজ্য পুলিশ থাকছে ৬,৯০১ জন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৬ কোম্পানি কেন্দ্রিয় বাহিনীর পাশাপাশি ৭,৪৩২ জন রাজ্য পুলিশ থাকছে শনিবার। এছাড়া পুরুলিয়া জেলায় ১৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রিয় বাহিনী ও ৫,৪৬৪ জন রাজ্য পুলিশের কর্মি মোতায়েন থাকবে। পুরোটাই কমিশনের দেওয়া তথ্য। এদিকে ভোটের তিন দিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক লোকসভার অন্তর্গত নন্দীগ্রাম বিধানসভার সোনাচূড়ায় এক বিজেপি কর্মির মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এলাকা উত্তপ্ত। দফায় দফায় বিক্ষোভ, অবরোধ, ভাঙচুর এর ঘটনায় জেলা থেকে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও এই পুর্ব মেদিনীপুর জেলায় এত কম সংখ্যক রাজ্য পুলিশ কেন মোতায়েন করা হয়েছে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
আরও পড়ুন : বৃহস্পতিবার সমাধিস্থ ইরানের প্রেসিডেন্ট