ঋক পুরকায়স্থ, সাংবাদিক: সোমবার সন্ধেবেলা হাওড়াতে সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শান্তিপূর্ণ ভাবে পূর্বনির্ধারিত সেই সভাও সম্পন্ন হয়। তবে এর পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করা হয়। যেখানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে একরাশ খালি চেয়ারের ছবি ও অপরদিকে বক্তব্য রাখছেন বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবং সেই পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে,”শুভেন্দু অধিকারী হাওড়ায় খালি চেয়ার সামনে রেখে কথা বলতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ বাংলার মানুষ নোংরা জমিদারদের কথা শোনে না।”
১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র সরকার দিচ্ছে না এমন অভিযোগ বারংবার করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের একাধিক কর্মসূচিও দেখতে পাওয়া গিয়েছে বারে বারে। আর এই কর্মসূচিগুলি থেকেই দিল্লির সরকারকে জমিদার বলে বারবার কটাক্ষে সরব হয়েছে তৃণমূল। এমনকি ১০ই মার্চ ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শুনতে পাওয়া গিয়েছ এই জমিদার কথাটি। তাদের স্লোগানেও উঠে এসেছে এই জমিদার তত্ব। এবার সেইদিকেই কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে মন্তব্য করেছে তৃণমূল যেখানে তাদের বক্তব্য বাংলার মানুষ জমিদারদের কথা শোনে না।
এই পোস্টের পরই তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলকে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করে দিলেন বিরোধী দলনেতা। এরপরও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। বলিউড সিনেমার সেই কালজয়ী সংলাপের মাধ্য়মে স্ক্রিনশর্টটি নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে তারা লেখে, “এ ডর হোনা চাহিএ, এ ডর হামে আচ্ছা লাগা।” তৃণমূলের তরফ থেকে যে কথাটা মনে করা হচ্ছে শভেন্দু অধিকারী ভয় পাচ্ছেন তৃণমূলকে আর সেই ভয়পাওয়াটাকেও তৃণমূল খুব ভালো ভাবেই উপভোগ করছে।
আরও পড়ুন : সংলাপ বাণে বিদ্ধ ভোটের প্রচার