ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা শুনানি শেষ না হলেও আগামী বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মৌখিক নির্দেশ বিচারপতি হরিশ ট্যাণ্ডন ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বুধবার ।
১লা জুন দেশে সাধারণ নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে। ৪ঠা জুন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়ে গেছে। তবুও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে রাজ্যের বেশ কিছু স্কুল এবং কলেজে। যেকারনে বহু স্কুলে এখনও পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারছে না। আবার বহু স্কুলে পড়াশোনা শুরু হয়ে গেছে। স্বাভাবিক ভাবেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা কিভাবে নতুন সিলেবাস আদও শেষ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
আগামী বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী শুনানির শেষে মৌখিক নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের।
এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত শুক্রবার আদালতে জানান , হাইকোর্টের নির্দেশ মত রাজ্য পুলিশের ডিজির দুটি ইমেল আইডি দেওয়া হয়েছিল যাতে মানুষ সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন। সেই ইমেল গত ১৮ জুন পর্যন্ত সেখানে ৮৫৯ অভিযোগ এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যার মধ্যে মধ্যে ২০৪ টি কেসে
এফআইয়ার হয়েছে।অর্থাৎ সেগুলো ভোট পরবর্তী হিংসার সঙ্গে যুক্ত।
১৭৫ টির ক্ষেত্রে ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ নয় বলে জানিয়েছেন এজি। পাশাপাশি
১৭৬টি ক্ষেত্রে কোনো অপরাধ কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। এবং ৪৫ টি অভিযোগ ভোট পরবর্তী হিংসার সঙ্গে যুক্ত নয়। রাজ্যের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২১৯ ডুপ্লিকেট অভিযোগ ও ২৬ টি অভিযোগ অসম্পূর্ণ।
১৪ টি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্র প্রয়োজন মনে করলে বাহিনী মোতায়েন রাখতে পারে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত।
কিন্তু রাজ্যের করা মূল্যায়ন কেন্দ্র পুরোপুরি খারিজ করে দিতে পারেনা।কিছু অভিযোগ আসছে বলে এজি স্বীকার করে নিলেও কেন্দ্র বাহিনী মোতায়েন করতেই হবে তা বলা যায়না।
বিচারপতি ট্যাণ্ডনের বক্তব্য – আপনাদের হিসাব মতই ২০০ টির বেশি এফয়াইয়ার দায়ের হয়েছে।এগুলো কাম্য নয়।
কেন্দ্রের এডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালত নির্দেশ দিলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে আপত্তি নেই জানাতেই সেই বক্তব্যের বিরোধিতা করে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল বলেন, কেন্দ্র এটা বলতে পারেনা যে তাদের আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। আইন অনুয়ায়ী তাদের ক্ষমতা থাকলে আছে না থাকলে নেই।তারা বলতে পারেনা আদালত নির্দশ দিলে তারা বাহিনী রাখতে পারে।
যে পরিস্থিতি আদালতের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে বাস্তব পরিস্থিতি ততটা খারাপ নয় বলে এডভোকেট জেনারেল উল্লেখ করেন।আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নাম ফোন নম্বর আদালতের কাছে তুলে দিলেন।বসিরহাটের ন্যাজাট ও মিনাখা থানার বাসিন্দাদের তথ্য। ডায়ামণ্ড হারবারের ফলতা থানা এলাকার কর্মীদের তথ্য।
আরও পড়ুন : পোষ্টাল ব্যালটে ঢেলে সমর্থন। তাই সরকারি কর্মিদের মুসকিল আসান সরকার