সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক– রিয়াসিতে জঙ্গি হামলার ৩ দিন কাটতে না কাটতেই আবারও অশান্ত জম্মু- কাশ্মীর। এবার জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় একটি গ্রামে ঢুকে গুলি চালাল জঙ্গিরা। যদিও পাল্টা জবাব দেয় সেনাবাহিনীও। সেনা- জঙ্গি সংঘর্ষে এক জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। শুধু কাঠুয়া জেলা নয়, কাঠুয়াতে সংঘর্ষের ঘন্টা খানেকের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায় সেনাবাহিনীর পোস্টে হামলা করে জঙ্গিরা। মঙ্গলবার জঙ্গিরা প্রথম হামলা করে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া কাঠুয়া জেলার হিরানগর সেক্টরের সাইদা গ্রামে। যে বাড়িতে হামলা চালানো হয়, সেই বাড়ির মালিকই প্রথম ফোন করে সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। এরপরই ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী। জঙ্গি দমন অভিযানে জম্মু- কাশ্মীর পুলিশ ও প্যারামিলিটারিও যোগ দেয়। ঘণ্টাখানেকের গুলির লড়াইয়ের পর এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয় বলে জানা গেছে। ২ জঙ্গি মিলে গ্রামে হামলা চালায়। ২ জঙ্গির মধ্যে ১ জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনারা। আরেক জঙ্গির খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। ড্রোন দিয়ে চলছে নজরদারি। সাইদা গ্রামে হামলা চালানোর খানিক পরেই বুধবার ভোরে জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায় সেনাবাহিনীর অস্থায়ী অপারেটিং বেস ক্যাম্পে জঙ্গিরা হামলা চালায়। জঙ্গিদের গুলিতে আহত হন মোট ৭ জন। আহতদের মধ্যে রয়েছে ৫ সেনা জওয়ান, ১ পুলিশ আধিকারিক ও ১ এলাকাবাসী। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় সিআরপিএফের।সেনাবাহিনীর পাল্টা গুলিতে নিকেশ ১ জঙ্গি। বাকি জঙ্গিদের খোঁজে বেস ক্যাম্পের পাশের জঙ্গলে তল্লাশি চলছে। ডোডায় হামলার দায় স্বীকার করেছে জইশ জঙ্গি গোষ্ঠীর শাখা সংগঠন, “দ্যা কাশ্মীর টাইগারস”। গত ৯ জুন বৈষ্ণোদেবীগামী একটি পুণ্যার্থী বোঝাই বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলি থেকে বাঁচতে গিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি। মৃত্যু হয় ১০ জনের, আহত প্রায় ৩৩ জন। আহতরা এখনও পর্যন্ত চিকিৎসাধীন। এই হামলার পিছনেও পাকিস্তানের সক্রিয় ভূমিকা আছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। একই দিনে ২ জায়গায় জঙ্গি হামলায় থমথমে এলাকা।
আরও পড়ুন : একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহ। এর হাত থেকে রেহাই দিতে ফের নির্দেশিকা শিক্ষা দফতরের