প্রবীর মুখার্জি, সাংবাদিকঃ জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে আয়োজিত হয় স্নানযাত্রার। হিন্দু বৈষ্ণবদের কাছে এই তিথির গুরুত্ব অপরিসীম। অনেকেই বলেন, এই দিন আবির্ভূত হয়েছিলেন শ্রী জগন্নাথ দেব। অসংখ্য ভক্ত এদিন উপস্থিত হন শ্রীক্ষেত্রে। স্নানযাত্রার আগের দিন সন্ধ্যায় জগন্নাথ-বলভদ্র-সুভদ্রা ও সুদর্শন চক্রকে শোভাযাত্রা করে মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বের করে এনে স্নানবেদীতে রাখা হয়। সেখানেই ভক্তদের দর্শন দেন প্রভু জগন্নাথ। স্নানযাত্রার দিন মন্দিরের উত্তরদিকের বিশেষ জলাধার থেকে জল এনে বিশেষ মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে তার শুদ্ধিকরণ করা হয়। এরপর ১০৮ কলসে স্নান করানো হয় বিগ্রহকে। সন্ধ্যায় স্নানপর্ব শেষ হলে গণপতির রূপে সাজানো হয়ে থাকে জগন্নাথ ও বলভদ্রকে। হস্তীমুখ বিশিষ্ট মস্তকাবরণী পরানো হয় শুধুমাত্র এইদিনেই। এইদিনের প্রভু জগন্নাথের এই বেশ কে বলা হয়ে থাকে গজবেশ।
কথিত আছে বর্ষার মুখে এত স্নানের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন জগন্নাথ দেব। রাজবৈদ্যর চিকিৎসাধীনে থাকতে তাঁকে থাকতে হয়ে গোপন কোনও কক্ষে। অর্থাৎ হোম আইসোলেটে থাকেন । তাই আগামী ১৫ দিন ভক্তদের দর্শন দেন না প্রভু। এই সময়কালকে বলা হয় অনসর। মূল মন্দিরে বিগ্রহের পটে দর্শন করতে পারেন ভক্তরা। ১৫ দিন পর ফের ভক্তদের দর্শন দেবেন প্রভু জগন্নাথ। তারপরে দাদা ও বোনকে নিয়ে রথে চেপে মাসির বাড়ি যাবেন জগবন্ধু।
আরও পড়ুন : বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে আরশোলা।চক্ষু চড়কগাছ যাত্রীদের!