অযথা বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পর এবার নড়েচড়ে বসেছে সরকারের একাধিক দফতর। সেই তালিকায় বাদ গেলো না রাজ্যের মুখ্য প্রশাসনিক ভবন নবান্ন। মঙ্গলবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কাজের দিন দেখা গেলো নবান্নের বেশিরভাগ ফ্লোরে নামমাত্র আলো জ্বলছে।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার এর পর এই সপ্তাহের সোমবার। উপর্যুপুরি দু’দুটো বৈঠকে বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ে নিজের চূড়ান্ত ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন সরকারি অফিসে অপ্রয়োজনীয় ভাবে আলো, পাখা জ্বালিয়ে রাখা সহ শীততাপ যন্ত্র চালিয়ে রাখা হয়। যখন ঘরে কেউ থাকেন না তখনও ঘরে আলো পাখা জ্বলতে দেখা যায়। এমনিতে এটা নিয়ে কারো মধ্যে খুব একটা হেলদোল দেখা যায় না। যেন এইভাবে বিদ্যুৎ অপচয় করাটাই নিয়ম। কিন্তু দিনের পর দিন এইভাবে বিদ্যুৎ অপচয়ের ফলে রাজ্য সরকারকে বিদ্যুৎ বিল বাবদ একটা মোটা টাকা গুনতে হয়। এবার তাতেই রাশ টানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দফতর বিদ্যুৎ অপচয় রুখতে আলাদা করে নির্দেশিকা জারি করেছে। অন্যান্য সরকারি অফিসেও বিদ্যুৎ অপচয় রোধে আলো, পাখা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্নেও দেখা গেল তেমনি ছবি। অন্যান্য কাজের দিন পনেরো তলা এই ভবনের প্রায় সব আলোই জ্বালিয়ে রাখা হতো। বিভিন্ন ঘরগুলোতে তো আলো, পাখা বা এসি চলতোই, পাশাপাশি বিভিন্ন ফ্লোরের লবিগুলোতেও সব আলো জ্বালিয়ে রাখা হতো। এদিন সাপ্তাহিক কাজের দিনে ঘরগুলোর আলো, পাখা জ্বলতে দেখা গেলেও লবিগুলোর আলো অনেকটাই ম্রিয়মান। একদম প্রয়োজনীয় কিছু লাইট ছাড়া বাকি প্রায় সব লাইটই বন্ধ রাখা হয়েছে। নবান্নে বিদ্যুৎ এর বিষয় দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজ করে পূর্ত দফতরের বিদ্যুৎ বিভাগ। সেই বিভাগের এক কর্মি জানালেন, শুধু কয়েকটি তল (ফ্লোর) বাদ দিয়ে বেশিরভাগ তলেই লবির আলো অধিকাংশ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। নবান্নে কর্মরত এক কর্মি বললেন, এটা মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। আমরাও অনেক সময় ঘর থেকে বের হওয়ার সময় লাইট, ফ্যান বন্ধ না করে চলে যাই। নিজের বাড়ি হলে তো এমন করতাম না। এবার থেকে অবশ্যই খেয়াল রাখবো।
আরও পড়ুন : শুরু অভিন্ন পোর্টালে ভর্তি প্রক্রিয়া