সাংবাদিক: সুচারু মিত্র দিল্লিতে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী এবং তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি NDA এর অন্যান্য শরিকদেরকে নিয়ে বৈঠকও করে ফেলেছেন। কিন্তু সেই বৈঠকে একের পর এক দাবি শরিকদের।বিশেষ করে চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতিশ কুমারের দাবির যেন শেষ নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রক, এছাড়াও জনশক্তি মন্ত্রক,রেল,লোকসভা স্পিকারের পদ ইত্যাদি অনেক কিছুই দাবি করেছেন নাইডু এবং নীতিশ কুমার। নীতিশ কুমারের পক্ষে দাবি করা হয়েছে রেল মন্ত্রক এবং জল শক্তি,সেই সঙ্গে ৮টি দফতর দাবি করা হয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুর পক্ষ থেকে।সেই সঙ্গে লোকসভার স্পিকারের দাবি।সব দাবিতেই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে ,শরিক দলকে ছোট করে দেখা হবে না বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ৯ই জুন তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয় বারের মতো শপথ নিতে চলেছেন। কিন্তু তার আগে নীতিশ আর নাইডুর আবদারে জেরবার বিজেপি। অন্য দিকে একনাথ সিন্ডেও দাবি করেছেন তার দলকে দিতে হবে অন্তত তিন জন পূর্ণমন্ত্রী।ফলে সব মিলিয়ে বিজেপির হাতে কি কি থাকবে তার নিয়েও ইতিমধ্যে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক হচ্ছে বারে বারে । জেপি নাড্ডা , অমিত শাহ, রাজনাথ সিং দফতর বন্টন নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।শরিকদের জন্য কোন কোন দফতর ছেড়ে রেখে তাদেরকে পরিকল্পনা করতে হবে সেটাই তারা বুঝে নিচ্ছেন।কারা কারা বিজেপির পক্ষ থেকে মন্ত্রীত্ব পাচ্ছেন তা নিয়ে জোড় আলোচনা চলছে। শুক্রবার বিজেপির সংসদীয় কমিটির বৈঠক। রয়েছে নীতিশ কুমারের দল JDU এর ও সংসদীয় কমিটির বৈঠক।সেই বৈঠকেও রণকৌশল এবং সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হবে দুদলের তরফে পৃথক পৃথক ভাবে। তবে তার আগে বিজেপি চায় শরিকের মনকে বুঝে নিয়ে সেই ভাবেই মন্ত্রী সভাকে সাজাতে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এই শপথের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, আমন্ত্রণের তালিকায় রয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট, নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আরও বেশ কিছু অতিথি অভ্যাগত।
আরও পড়ুন : ভাঙর বিধানসভায় বামকে পিছনে ফেললো পদ্ম প্রার্থী