রাজ্যে নির্বাচনের শেষ দফাতে এসেও কিউআরটি বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ফের একবার অভিযোগ উঠলো। সেই সঙ্গে নতুন শব্দবন্ধ যোগ হলো এই কিউআরটি নিয়ে। কংগ্রেসের অভিযোগ কমিশনের কিউআরটি নয়, তৃণমূলের কিউআরটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন বুথের আশেপাশে।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণভাবে ও নির্বিঘ্নে ভোট পরিচালনা করার জন্য কেন্দ্রিয় বাহিনী ব্যবহারের পাশাপাশি ভোটের দিনগুলোতে কিউআরটি সহ আরও বেশ কিছু ব্যবস্থা নেয়। এই কিউআরটি বা ক্যুইক রেসপন্স টিম হলো একটি আলাদা বাহিনী যারা নির্দিষ্ট কোনো বুথে না থেকে এলাকাভিত্তিক বেশ কয়েকটি বুথের দায়িত্বে থাকে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই কিউআরটি বাহিনীর সঠিক ব্যবহারের জন্য একজন পুলিশ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব দেয়। সেই সেক্টর অফিসার তার এলাকার (আট থেকে দশটি বুথের দায়িত্ব) কোনো বুথে বা বুথের বাইরে গন্ডগোলের খবর পেলেই যাতে তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। ঠিক এই জায়গাতেই কমিশনের দিকে আঙুল তুলে কংগ্রেস এদিন অভিযোগ শানিয়েছে।
শনিবার বেলা একটা নাগাদ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করেন আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেসের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। সিইও-র সঙ্গে দেখা করার পর কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, “বুথের একশো মিটারের মধ্যে সমাজবিরোধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, চেয়ার পেতে বসে রয়েছে। কিউআরটি কে ফোন করা হলে সেই কিউআরটি লোকাল থানায় ফোন করছে। লোকাল থানা তখন তৃণমূলের কিউআরটিকে ফোন করছে যারা চেয়ার টেবিল পেতে বসে রয়েছে। লোকাল থানা থেকে খবর পেয়ে তৃণমূলের কিউআরটি কখনো কেকের দোকানে, কখনও অন্য দোকানে ঢুকে পড়ছে। আর তারপর কমিশনের কিউআরটি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘুরে চলে যাচ্ছে।” আশুতোষের অভিযোগ এটা একটা মিলিজুলি সংসার। তৃণমূল কংগ্রেসের কিউআরটি বলতে আশুতোষের মতে তারাই যারা ভোট কিভাবে বাঁধা দিতে হবে, ছাপ্পা দিতে হবে, ভোটারদের কিভাবে আটকাতে হবে, এই কাজটাই করছে। আসলে ভোট লুঠ করার জন্যই এই তৃণমূলের কিউআরটি বাহিনী কাজ করছে এই শেষ দফার ভোটে। অভিযোগ আশুতোষের।
আরও পড়ুন : প্রথম দুই ঘন্টায় ভোট পড়লো মাত্র আট শতাংশ। কারণ টা কি ?