সুস্মিতা হালদার প্রতিনিধিঃ অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। দীর্ঘ ৪ দশক পর খোলা হবে পুরীর ‘রত্নভান্ডার’।বুধবার একথা জানিয়েছেন ASI-এর পুরী সার্কেলের শীর্ষ আধিকারিক ডিবি গড়নয়ক ।এবছর আষাঢ় মাসে ২ দিন রথযাত্রা। ৭ ও ৮ জুলাই।আর ঠিক রথের পরের দিনই খুলে দেওয়া হবে পুরীর রত্নভাণ্ডার। অন্যদিকে, ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জেতার পর সেই কথা রাখতে চলেছে মোদী সরকার।
এ প্রসঙ্গে, পুরী সার্কেলের ASI-এর সুপার ডিবি গড়নয়ক বলেন, রথযাত্রার পরেই রত্ন ভান্ডারটি পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোর কমিটি ও টেকনিক্যাল সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন সেখানে।পাশাপাশি রত্নভান্ডারের অবস্থানের খতিয়ানও দেখবেন আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা।
শেষবারের মতো রত্নভাণ্ডার খোলা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে।তারপর প্রায় ৪৫ বছর পর খোলা হবে এই কক্ষ।সম্প্রতি ওড়িশা হাইকোর্টের হলফনামায় মন্দির করতিপক্ষ জানিয়েছিল, মন্দিরে প্রায় ১৫০ কেজি সোনার গয়না ও ১৯৮.৭৯ কেজির রুপোর গহনা রয়েছে।এছাড়াও রয়েছে সোনা রূপোর কিছু বাসনপত্রও।
গরনায়কের মতে, ৮ জুলাই রত্নভান্ডার পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন হবে। গরনায়কের কথা অনুযায়ী, ‘২০১৮ সালের রিপোর্ট অনুয়ায়ী রত্নভান্ডার পরীক্ষা করা হয়েছিল। তখন মন্দিরের দেওয়ালে ফাটল লক্ষ্য করা যায়। কিছু জায়গায় পাথর খসেও পড়েছিল। লেজার স্ক্যানিংয়ের মাধম্যে দেখা যায় রত্নভান্ডারের বাইরের দিকে দেওয়ালে ও খাঁজে খাঁজে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে বর্ষার সময় রত্নভান্ডারে জল ঢুকেছিল।
২০১৮ সালে ওড়িশা হাইকোর্টের নির্দেশে দরজা খুলেছিল মন্দিরের রত্নভান্ডারের।রত্নভান্ডারের তিনটি চাবির একটি নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। এবং হাইকোর্টের নির্দেশে রথযাত্রার সময়ে ভান্ডারের কিছু সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ।
সদ্য সমাপ্ত হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিজেডিকে পরাজিত করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর সেখানে বিরোধী দল রত্না ভান্ডারের উদ্বোধন একটি প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। ২০১৮ সালে রত্না ভান্ডারের চাবি হারিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ বিজেপির অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্বরা ভোট প্রচারের সময় “ওড়িয়া অস্মিতা” অর্থাৎ ওড়িয়া গর্বকে উল্লেখ করেছিলেন।এপ্রসঙ্গে জগন্নাথ মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট বালি শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি এবং এএসআই, মন্দিরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি”।
আরও পড়ুন : নেটে দূর্নীতির অভিযোগ, ফের হবে পরীক্ষা।