ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক: বন্ধ হচ্ছে না হুক্কা বার। হুক্কা বার নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে শহরের সমস্ত হুক্কা বার বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে কলকাতা পুরসভা। তারপর বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। সেই মামলার শুনানির পর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এব্যাপারে যেহেতু কোনও আইন নেই তাই হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না। এরপরই এই ইস্যু নিয়ে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। আর্জিতে জানান হয়, শহরের সমস্ত হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ দিক আদালত। কিন্তু কোনও লাভ হল না। সোমবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নতুন করে আইন বা নির্দেশিকা জারি করতে পারে। কিন্তু যেহেতু ২০০৩ সালে ‘সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন’ মেনে হুক্কা বার চালানো হয় তাই তা বন্ধ করা যাবে না। এর আগে প্রথমে কলকাতা পুরসভা পরে বিধাননগর পুরসভায় হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ জারি করে দুই পুর নিগম। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে জানিয়েছিলেন, শহরের সব রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষকেই হুক্কা বার বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। অনুরোধে কাজ না হলে অথবা, গোপনে হুক্কা বার চালানো হলে পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।
নিয়ম অমান্য করলে রেস্তরাঁগুলির লাইসেন্স নবীকরণ করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মেয়র। সেই মতো পুলিশ পদক্ষেপও শুরু করে। পুরসভা এবং পুলিশের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন হুক্কা বারের কয়েক জন মালিক। তাঁদের বক্তব্য, পুরসভার আইনে হুক্কা বার বন্ধের বিষয়ে বলা নেই। মামলার শুনানির পর সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, হুক্কা বার বন্ধ করতে হয়, তবে রাজ্য বা পুরসভাকে নতুন আইন প্রণয়ন করে তা বন্ধ করতে হবে। তার আগে পর্যন্ত হুক্কা বারগুলির বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন : সুকান্তর পরবর্তীতে রাজ্য সভাপতি কে? জল্পনায় দিলীপ সহ ৪টি নাম