টলিপাড়ার অন্দরে কান পাতলেই এখন শোনা যাচ্ছে যীশু সেনগুপ্তর সঙ্গে নাকি বিচ্ছেদ হতে চলেছে তার স্ত্রী নীলাঞ্জনা ভৌমিকের। ইতিমধ্যেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থেকে সেনগুপ্ত পদবী সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। মেয়েও আনফলো করেছেন বাবাকে। এরই মাঝে অভিনেতা ঋষি কৌশিক লাইভে এসে যা বললেন তাতে টলিউডে কি আরও এক ডিভোর্স হতে চলেছে? চলছে জোর জল্পনা
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: টলিউড জুড়ে কি বিচ্ছেদের মরশুম? কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে প্রায় ২০ বছরের দাম্পত্যে ছেদ পড়তে চলেছে যীশু নীলাঞ্জনার। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে বাবাকে আনফলো করে দিয়েছেন তাদের বড় মেয়ে সারাও। এর মধ্যেই নিজের বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিলেন ঋষি কৌশিক
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন ঋষি কৌশিক। যেখানে ঋষি বলেন, ‘‘১২ বছর আগে একটি ছেলে ও মেয়ের বিয়ে হয়। যদিও মেয়েটি ও ছেলেটির জীবনযাত্রা একেবারেই আলাদা। তা বুঝতে পেরেই নাকি মেয়েটিকে বিয়ে করতে চাননি ছেলেটি। কিন্তু নিজেকে বদলে ফেলার বিশ্বাসের মর্মেই মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি হন ছেলেটি। তবে বিয়ের পর থেকে নিজেকে বিন্দুমাত্র বদলাননি তিনি, বরং তা ক্রমশ বেড়েছে।’’ ঋষি আরও জানান, মেয়েটি বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরতা। তিনি তাঁর স্বামীকে নাকি কথায় কথায় চাকরির খোঁটা দেন। স্বামীর উপর সর্ব ক্ষণ খবরদারি করেন, কিন্তু খোঁজখবর নেন না। ঋষি আরও বললেন, ‘‘ধূমপান, মদ্যপান, রাত্রে পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি, একেই কি বলে আধুনিকা নারী!” উল্লেখ্য তার বউও আইটি সেক্টরেই আছেন।
অথচ বিচ্ছেদের কথা বললেও তাতে রাজি হননি স্ত্রী। সেই কারণে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথাও ভেবেছেন ছেলেটি, ভিডিওতে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ঋষি কৌশিক। যদিও এই ব্যাপারে কোনওভাবেই মুখ খোলেননি তার স্ত্রী দেবযানী চক্রবর্তী। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ১২ বছর এইভাবে কাটানোর পর একজন পুরুষের কী করা উচিত? সেই প্রশ্নের উত্তর দর্শকের থেকেই জানতে চেয়েছেন ঋষি কৌশিক। টলিউড এখন একটাই প্রশ্ন, এবার কি বিচ্ছেদ হতে চলেছে ঋষি কৌশিক এবং দেবযানী চক্রবর্তীর? যদিও এখনও তার উত্তর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : আপনার বাড়ির চৌহদ্দির পরিবেশ কেমন। নিজের ফোনেই জেনে নিন সেই তথ্য। অ্যাপ আনলো রাজ্যের পরিবেশ দফতর