নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: বই নেই কিন্তু চলতি বছর থেকেই একাদশে নতুন সিলেবাসে পঠনপাঠনের নির্দেশ জারি কর হয়। বই যোগাতে শিক্ষার্থীদের পিডিএফ দেয় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ধীরে ধীরে সাধারণ পড়ুয়ারা বই পেতে শুরু করছে। কিন্তু বইয়ের অপেক্ষায় এখনও দিন গুনছেন দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীরা। সামনেই সেমেস্টার। কীভাবে পরীক্ষা দেবে তা নিয়ে চিন্তায় তারা।
আর পাঁচ জন সাধারণ পড়ুয়ার থেকে ওদের জগৎ অনেকটাই আলাদা। জন্মের পর থেকেই শুরু হয়েছে ওদের লড়াই। দৃষ্টিশক্তি না থাকায় একাধিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয় ওদের। এবার একাদশ শ্রেণির দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীদের জীবনে এসেছে নয়া সমস্যা । প্রায় ১৩ বছর পর উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস পরিবর্তন হয়েছে। চলতি বছর থেকেই নতুন সিলেবাসে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে একাদশ শ্রেণিতে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা হাতে বই পেতে শুরু করেছে। কিন্তু একাদশের শিক্ষার্থীদের একাংশ এখনও বই থেকে দূরে। বই ছাড়াই চলছে তাদের পঠনপাঠন। এরা প্রত্যেকেই বিশেষভাবে সক্ষম। দৃষ্টিহীন এই শিক্ষার্থীরা ব্রেইল হরফের সাহায্যে পড়াশোনা করেন। কিন্তু নতুন সিলেবাসে ব্রেইল হরফে বই এখনও তৈরি হয়নি। যা খুবই চিন্তার বলে মত ক্যালকাটা ব্লাইন্ড স্কুলের অধ্যক্ষা লিসা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শিক্ষক শিক্ষিকারা যা পড়াচ্ছেন তা শুনে শুনে মনে রাখতে হচ্ছে এই দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের। শুনে শুনে পড়ায় খুব একটা মনেও থাকছে না তাদের। সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম সেমেস্টার। বই হাতে না পেলে কিভাবে পরীক্ষা দেবে এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় শিক্ষার্থীরা।
সিলেবাস পরিবর্তনকে স্বাগত জানালেও, একাদশ শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর জন্য বই রেডি কিনা তা দেখার পরই এ বছর একাদশে নতুন সিলেবাস চালু করা উচিত ছিল বলে মত শিক্ষক শিক্ষিকাদের । দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীরা কবে সব বই ব্রেইল হরফে হাতে পাবেন। সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শিক্ষার্থী প্রত্যেকেই।
শুধুমাত্র যে বইয়ের অভাব তাই নয়। নতুন সিলেবাস নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে বলে মত অধ্যক্ষার। দৃষ্টিহীন বেশিরভাগ পড়ুয়াই সঙ্গীত নিয়ে পড়াশোনা করেন। কিন্তু এবারের সিলেবাসে সঙ্গীত বিষয়টি নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা বলে মত অধ্যক্ষর।
আরও পড়ুন : আরও বিনিয়োগ, আরও কর্মসংস্থান কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সে