সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- একের পর এক জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত জম্মু- কাশ্মীর। এবার ঘটনাস্থল জম্মুর কাঠুয়া জেলা। কাঠুয়া শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে বিল্লাওয়ার তহসিলের লোহাই মলহারের বদনোটা গ্রামে ভারতীয় সেনার কনভয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রতিদিনের মতোই সোমবার এলাকায় টহল দিচ্ছিল আর্মি ট্রাক। প্রথমে আর্মি ট্রাক লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। এরপরই চলে এলোপাথারি গুলি। পাল্টা গুলিবর্ষণ করে সেনাবাহিনীও। ঘটনায় এলাকা ঘিরে ফেলতে বাড়তি পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। খোঁজ চালানো হচ্ছে জঙ্গিদের। কাঠুয়া জেলার এই এলাকা ভারতীয় সেনার ৯ কোর-এর জুরিসডিকশনের অন্তর্গত।
এদিন আর্মি ট্রাকে গ্রেনেড এবং গুলি ছোঁড়ার পর জঙ্গিরা ওই এলাকারই জঙ্গলে গা ঢাকা দেয়। সেখান থেকে গুলি চালায় তারা। জঙ্গিরা দেশের আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করেছিল বলে অনুমান সেনাবাহিনীর। এরপর তারা উঁচু পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা তৈরি করে। উঁচু পাহাড়ি এলাকা থেকে নীচের রাস্তা দিয়ে যাওয়া ভারতীয় সেনার ওই ট্রাকটিকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, জঙ্গি সংখ্যা ৩। তবে তাদের নাগালে পাওয়ার পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। গ্রেনেড ছোঁড়ার পরে জঙ্গিরা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে। গুলিবর্ষণে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ জওয়ানের, আহত হয় আরও ৬ জন। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সেনা সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গিদের কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র রয়েছে। শুধুমাত্র হামলা নয়, হত্যার উদ্দেশ্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে জানা গেছে। বেশি সংখ্যক ভারতীয় সেনার হত্যাই জঙ্গিদের টার্গেট বলে অনুমান সেনাবাহিনীর। স্থানীয় কারও সাহায্য নিয়ে ঘাঁটি গেড়েছে জঙ্গিরা বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনায় পাক যোগ রয়েছে বলে অনুমান সেনাবাহিনীর।
আরও পড়ুন : রাতে বলেছিলেন সন্তানের কথা, সকালে স্বামীর শহীদ হওয়ার খবর পেলেন স্মৃতি