সহেলী দত্ত, প্রতিনিধি : কেরলের ওয়ানাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ ভূমিধস। আটকে প্রায় শতাধিক মানুষ। মঙ্গলবার ভোররাতে ২টোর দিকে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এরপর আরও একবার ভোর ৪টে ১০ মিনিটে ভূমিধস নামে। ভূমিধসের কারণে ১০০ জনের বেশি মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়ে। যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে চলছে উদ্ধার অভিযান। কেরালার মন্ত্রী এমবি রাজেশ জানান, উদ্ধারকার্যের আধিকারিকরা জানিয়েছেন ভয়াবহ ভূমিধসের কারণে হু হু করে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে , এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওয়ানাড়ের চপরামালায় উদ্ধার অভিযানে জড়িত রয়েছে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ, সিভিল ডিফেন্স, এনডিআরএফ এবং স্থানীয় জরুরি উদ্ধারকাজের ২৫০ জন সদস্য। এনডিআরএফের অতিরিক্ত দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারী বৃষ্টির জন্য বারবার ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকার্য। উদ্ধারকাজে গতি আনতে ডেকে পাঠানো হয়েছে সেনাবাহিনীকে। কেরলের মন্ত্রী বীণা জর্জ জানান, উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে ভারতীয় নৌসেনা। বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির সঙ্গে বাকি ভূখণ্ডের সংযোগরক্ষাকারী একটিমাত্র যে সেতু ছিল, সেটিও ভেসে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়েনাড় জেলার মেপ্পাডি, মুন্ডাকাই এবং চুরাল মালা এবং নুলপুঝা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধসের কারণে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুরও। ১৬ জনের চিকিত্সা চলছে মেপ্পাডি এলাকার একটি হাসপাতালে। প্রায় ১০০ জন মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে দুটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
১) ৯৬৫৬৯৩৮৬৮৯
২) ৮০৮৬০১০৮৩৩
ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের তরফে কেরল সরকারকে সব রকম সাহায্য করারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর তরফে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানান হয়েছে। ওয়ানাড়ের এই বিপর্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন : চক দে ইন্ডিয়া! প্যারিস অলিম্পিকে দ্বিতীয় পদক মনুর