সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- আবারও রেল দুর্ঘটনা। চলন্ত ট্রেন দু-খণ্ড হয়ে যায় বিহারের সমস্তিপুরের কাছে। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচল যাত্রীরা। স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস, হঠাৎই তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে দু-খণ্ড হয়ে যায় ট্রেনটি। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। সোমবার দারভাঙ্গা থেকে নয়া দিল্লিগামী সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিহারের সমস্তিপুরের কাছে ট্রেনের কাপলিং হঠাৎই খুলে যায়। সমস্তিপুর-মুজাফফরপুর রেলওয়ে বিভাগের কার্পুরি গ্রাম রেল স্টেশনের মাঝে ইঞ্জিন থেকে বগিগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় সমগ্র ট্রেন।
বগি আলাদা হয়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। ট্রেন দাঁড়িয়ে গেলে আতঙ্কিত বহু যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় রেলের আধিকারিকদের একটি দল। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, প্রথম কোচের সঙ্গে ইঞ্জিনের সংযোগকারী কাপলিং বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। যার ফলে ট্রেনটি দু’ভাগ হয়ে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের সুবিধার্থে রেলের আধিকারিকরা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌছয়। প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যেই ট্রেনটিকে ফের ইঞ্জিনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। নয়া দিল্লির উদ্দেশ্যে চলতে শুরু করে সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস। কিছুদিন আগে বিহারের পটনার কাছে পূর্ণিয়া-হাতিয়া এক্সপ্রেসেও প্রায় একই সমস্যা হয়েছিল। কাপলিংয়ের লিঙ্কও ভেঙে গিয়েছিল। যার ফলে ট্রেনের ২ টি বগি ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। যদিও সেই ঘটনাও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেনি। বার বার দুর্ঘটনার মুখে রেল পরিষেবা, যা কার্যত প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন : নীতি আয়োগে মাইক বন্ধ। প্রতিবাদে প্রস্তাব পেশ বিধানসভায়। হই হট্টগোল। ওয়াক আউট বিজেপির।