নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করা নিয়ে প্রস্তাব পেশ করা হলো রাজ্য বিধানসভায়। প্রস্তাব পেশ করেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মুখ্যমন্ত্রীর কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন বিজেপি বিধায়করা। তুমুল হই হট্টগোলের মধ্যে অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করে বিজেপি।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার কথা বলতে না দিয়ে অপমান করা হয়েছে বলে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন বিধানসভায় এই বিষয় নিয়ে প্রস্তাব আনা হলে সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিজেপি। আলোচনা ঘিরে উত্তাল হয় বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ।
যে ঘটনা হয়েছে তা সবাই দেখেছেন। নীতি আয়োগের বৈঠকে উনি বঞ্চনা ও বাংলা ভাগের বিরোধিতা নিয়ে বলতে গিয়ে অপমান করা হয়েছে। এটা দেশের লজ্জা। বিরোধিরাও এখানে গঠনমূলক আলোচনা করে না। বিজেপিরা বাংলা বিরোধী।
ওখানে ঘড়ি ছিল। সেই ঘড়িতে টাইম দেখা যায়। সবাইকে একই সময় বলতে দেওয়া হয়। উনি সেটিংয়ের চেষ্টা করছিলেন।বাইরে এসে উনি যা বলেছেন তা ভিতরে হয়নি। মানুষের জন্য কাজ করছেন না আপনারা।
মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগে বলতে না পারলে কোথায় বলবেন তিনি। বিরুদ্ধে কথা বললেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী বাইরে বেরিয়ে অসত্য কথা বলবেন এটা কখনও হয়? যা হয়েছে উনি তাই বলেছেন। ওনার ক্ষমতা আছে বলার। তাই তিনি প্রতিবাদ করেছেন।
দীপক বর্মণ, বিজেপি বিধায়ক উনি সাংবাদিকদের আগেই বলে গিয়েছিলেন ওয়াক আউট করবেন।
ওনাকে প্রমাণ করতে হবে উনি সাংবাদিকদের বলে গিয়েছিলেন। না হলে ওনার বক্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দিতে হবে।
মানস বাবুর প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে যা বলেছেন। তাকে ভিত্তি করে যে প্রসঙ্গ উত্থাপিত করেছেন তা নিয়ে আলোচনা হয় না। এটা সত্যের অপলাপ মাত্র। নির্মলা সীতারামণ ভিতরে কি হয়েছে তা বলেছেন। আমরা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি। নীতি আয়োগের অফিসিয়াল বিবৃতি নিয়ে আলোচনা করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের কি বলেছেন তা নিয়ে আলোচনা করা যায় না। ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য নিয়ে আমরা আলোচনা চেয়েছিলাম। আমাদের বলতে দেওয়া হয়নি। আজ কেন হবে?
বিজেপির স্লোগান শুরু। পাল্টা শাসক দলের স্লোগান। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন কক্ষ। এরপরেই ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
আলোচনায় অংশ নিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, সারা পৃথিবীর ইতিহাসে হিটলার, মুসোলিনি সহ বেশকিছু স্বৈরাচারী শাসককের নিদর্শন রয়েছে। হয়তো আগামি দিনে আরও একজন স্বৈরাচারী শাসক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামও সেই তালিকায় যুক্ত হবে।
অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিরোধীরা ভুলে গেছে মুখ্যমন্ত্রী হলেন leader of the house. ওনার সাথে যে আচরণ করা হয়েছে, তা আমার এক্তিয়ারে আসলে আলোচনা হবেই। প্রয়োজনে আমি প্রিভিলেজ করতে পারি।
আরও পড়ুন : সকাল থেকে স্তব্ধ টলিউড, প্রসেনজিতের বাড়িতে বৈঠকে পরিচালকরা