‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাত জন মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করলেও জোটের অন্যতম শরিক হয়েও নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এই কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- প্রথমে ঠিক ছিলো শনিবারের নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই দিল্লি পৌঁছে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিধানসভায় নিজের কক্ষে বসে সেকথা জানিয়েছিলেন তিনি নিজেই। সেই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে রাজ্যের বক্তব্য কি হবে সেটা আগাম জানিয়ে দিতে বলেছিলো নীতি আয়োগ কর্তৃপক্ষ। এটা ঠিক নয়। বৈঠকে কি বলবো না বলবো তা আগে থেকে কেন জানাতে হবে বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তা সত্বেও রাজ্যের দাবি দাওয়া সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নীতি আয়োগ কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তাঁর দিল্লি সফর প্রসঙ্গে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে দিল্লি যাবেন। শুক্রবার দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ও শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। তবে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই জানা যায় যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ওইদিনের দিল্লি সফর বাতিল করেছেন। আদৌ তিনি দিল্লি যাবেন কি না, সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য জানা না যাওয়ায়, জল্পনা ছড়ায় যে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই কি মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দিল্লি সফর বাতিল করলেন ! তবে নবান্নের আমলা মহলে খবর ছিলো মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এর বদলে হয়তো শুক্রবার দিল্লি যেতে পারেন।
সেই খবরই সত্যি হলো যখন শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে সঙ্গে নিয়ে দিল্লির পথে রওয়ানা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দিল্লি সফর নিয়ে এদিন কলকাতা বিমানবন্দরের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আগেই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যাবো বলে জানিয়েছিলাম। ওরা ৭ দিন আগেই আমার লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়েছে। আমি জাস্ট যাচ্ছি, কিছুক্ষণ থাকবো। ওখানে আমাকে বলতে দিলে আমার কথা রেকর্ড করাবো, না দিলে প্রতিবাদ করবো, করে বেরিয়ে আসবো।” তিনি আরও জানান, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীও (হেমন্ত সোরেন) বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন।
এদিকে বাজেটে বাংলাকে বঞ্চনা করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাজেটে বাংলা সহ অন্যান্য বিরোধী রাজ্যগুলোকে বঞ্চনা করা হয়েছে। আমরা এই বিমাতৃসুলভ আচরন মেনে নিচ্ছি না। মন্ত্রী নিজে সংসদে উপস্থিতি থেকে বাংলাকে ভাগ করার কথা বলছেন। এখন শুনতে পাচ্ছি আরও অনেকেই এইভাবে বাংলাকে ভাগ করার কথা বলছে। এইভাবে বিহারকে ভাগ করার কথা বলা হচ্ছে, আসাম, ঝাড়খণ্ড কে ভাগ করার কথা বলা হচ্ছে। আমরা কড়া ভাবে এর বিরোধিতা করছি। বাংলাকে ভাগ করা মানে দেশকে ভাগ করা। আমরা এই ধরনের কোনো কিছুই সমর্থন করি না।
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন। বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছেন দুই মন্ত্রী সহ মাত্র ছয় বিধায়ক।