রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন আইএনএস ব্রক্ষ্মপুত্রে আগুন, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার তরফে
সহেলী দত্ত, প্রতিনিধি : ডকইয়ার্ডে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন আগ্নিকাণ্ড যুদ্ধজাহাজ আইএনএস ব্রক্ষ্মপুত্রে। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় জাহাজটির। দুর্ঘটনার জেরে নিখোঁজ এক নাবিক। ইতিমধ্যে সেই নাবিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে নৌ সেনা তরফে।
২০০০ সালের এপ্রিল মাসে ভারতীয় নৌসেনায় যুক্ত হয়েছিল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস ব্রক্ষ্মপুত্র। জাহাজটিতে ৪০ জন নৌসেনা আধিকারিক ছিল। পাশাপাশি ৩৩০ জন নাবিক মোতায়েন ছিল জাহাজটিতে। মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মুম্বইয়ে যুদ্ধজাহাজটিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যায় আচমকাই জাহাজটিতে আগুন লাগে। চোখের পলক ফেলার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। জাহাজে থাকা নাবিকরাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে দমকল কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। এরপর চলে স্যানিটাইজেশনের কাজ।
নৌসেনা সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্য়ায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সোমবার ভোরে। অগ্নিকাণ্ডের সময়ে জাহাজে থাকা সব আধিকারিক ও নাবিকরা সুরক্ষিত রয়েছেন। শুধু এক জুনিয়র নাবিক নিখোঁজ রয়েছেন।
কলকাতা গার্ডেন রিচে তৈরি হয় আইএনএস ব্রক্ষ্মপুত্র। ১২৫ মিটার দীর্ঘ যুদ্ধজাহাজটির ওজন ৫ হাজার ৩০০ টন। জাহাজটির ঘন্টায় গতিবেগ ২৭ নটিক্যাল মাইলের বেশি। উপকূলীয় নিরাপত্তার সব ধরনের প্রযুক্তিই রয়েছে ব্রক্ষ্মপুত্র আইএনএসে। জাহাজটিতে চেতক হেলিকপ্টারও অবতরণ করতে পারে। দুটি ইঞ্জিন বিশিষ্ট সিকিং কপ্টারও ওঠানামা করতে পারে। এই যুদ্ধজাহাজ থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায়।
ভারতীয় নৌসেনার তরফে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাটি থেকে মাটি ও মাটি থেকে আকাশে আক্রমণ করতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র এবং টর্পেডো লঞ্চারে সুসজ্জিত যুদ্ধজাহাজটি।
গত দশ বছরে মুম্বই বন্দরে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কখনও অগ্নিকাণ্ড, কখনও দুই জাহাজের মধ্যে ধাক্কা, আবার কখনও বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেই সব ঘটনায় মৃত্যু হয় নাবিক ও নৌসেনাদের। যথারীতি এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : মধ্যপ্রদেশে জ্যান্ত কবর !