প্রবীর মুখার্জি, সাংবাদিকঃ হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী মঙ্গলবার দিনটি নিষ্ঠা সহকারে পালন করলে স্বয়ং হনুমানজি প্রসন্ন হন। প্রচলিত বিশ্বাস এই দিন বজরংবলী প্রসন্ন হলে জীবনের সব দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে এমন কিছু রাশি রয়েছে, যার জাতক-জাতিকারা সবসময়েই পবন-নন্দনের কৃপা লাভ করে থাকে। এই রাশির জাতক-জাতিকারা ভাগ্যবান হয়ে থাকেন। কারণ, সবসময়েই তাদের উপর রাম-ভক্তের কৃপা থাকে।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কুম্ভ রাশির স্বামী স্বয়ং শনিদেব। মঙ্গলবার হনুমানজির পুজো করলে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের সব ইচ্ছা পূর্ণ হয়। জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধির অভাব হয় না।
সিংহ রাশির অধিপতি হলেন সূর্যদেব। সিংহ রাশিও হনুমানজির প্রিয় রাশিগুলির একটি। হনুমানজির আশীর্বাদে এই রাশির জাতক-জাতিকারাও কোনও সমস্যায় পড়েন না। যদি প্রতি মঙ্গলবার নিয়ম করে বজরংবলীর পুজো করে থাকেন।
বৃশ্চিক রাশির অধিপতি গ্রহ মঙ্গল। এই রাশির জাতক বা জাতিকারাও যদি মঙ্গলবার নিষ্ঠাভরে হনুমানজির পুজো করে থাকেন। তাদের উপরেও স্বয়ং অঞ্জনীপুত্রের আশীর্বাদ থাকে।
মেষ রাশির অধিপতি গ্রহ মঙ্গল। হনুমানজীর সবচেয়ে প্রিয় ৪টি রাশির অন্যতম মেষ। এই রাশির জাতক-জাতিকারাও যদি প্রতি মঙ্গলবার নিয়ম করে হনুমানজীর পুজো করে থাকেন। তাঁদের উপরেও বর্ষায় মহাবলীর আশীর্বাদ।
এখন প্রশ্ন হল কীভাবে পুজো করবেন হনুমানজীর..? স্নান সেরে ভক্তিভরে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালুন। হনুমানজীর দ্বাদশ নাম জপ করুন। প্রতিদিন এই নাম জপ করতে পারেন। ১০৮ বার। নিরামীষ আহার করুন। তুষ্ট হবেন বজরংবলী। তবে অবশ্যই শ্রীরাম চন্দ্রের নামও করতে ভুলবেন না। ভাবছেন ১০৮ বার নাম জপ তো অনেকটা সময়ের ব্যপার। একদমই না চলতে-ফিরতে, যেতে-আসতে, যে কোনও সময়েই তাঁর নাম জপ করতে পারেন। দ্বাদশ নাম একবারে ৩ বার জপ করলেই ৩৬ বার নাম জপ হয়ে যায়। এইভাবে সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা বা রাত্রি তিন বার জপ করতে পারলেই ১০৮ বার হনুমানজীর নাম জপ সম্পন্ন করা যায়। সুতরাং আর দেরি কেন, আজই শুরু করে দিন হনুমানজীর দ্বাদশ নাম জপ করা।
হনুমানজীর দ্বাদশ নাম….
ঔঁ শ্রী হনুমতে নমঃ
ঔঁ শ্রী অঞ্জনীসূতায় নমঃ
ঔঁ শ্রী বায়ূপুত্রায় নমঃ
ঔঁ শ্রী মহাবলায় নমঃ
ঔঁ শ্রী রামেষ্ঠায় নমঃ
ঔঁ শ্রী ফাল্গুনায় নমঃ
ঔঁ শ্রী পিঙ্গাক্ষায় নমঃ
ঔঁ শ্রী অমিতবিক্রমায় নমঃ
ঔঁ শ্রী উদবিধিবিক্রমায় নমঃ
ঔঁ সীতাশোক বিনাশায় নমঃ
ঔঁ শ্রী লক্ষ্মণায়প্রাণদাত্রে নমঃ
ঔঁ দশগ্রীববস্যায় দর্পায় নমঃ
আরও পড়ুন : ভারতীয় ক্রিকেটে আজ “দাদা’ ডে