সহেলী দত্ত, প্রতিনিধি : ফের দুর্ঘটনার কবলে রেল। এবার ঝাড়খণ্ডে বেলাইন হাওড়া থেকে মুম্বইগামী ট্রেন। চক্রধরপুর ডিভিশনে মঙ্গলবার ভোর ৩টে ৪৩ মিনিটে রাজখোরাসান ও বড়াবাম্বু স্টেশনের মাঝে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটি। বেলাইন হয় হাওড়া-মুম্বই সিএসএমটি এক্সপ্রেসের প্রায় ১৮টি কামরা । রেল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আহত প্রায় ৬০ জন। লাইনচ্যুত হওয়া ১৮টি কামরার মধ্যে ১৬টি যাত্রীবাহী কামরা ছিল। বেলাইন হয়েছে বিদ্যুত সংযোগের কামরা এবং প্যান্ট্রি কারও। অদূরেই লাইনচ্যুত হয়েছে আরেকটি মালগাড়িও। যুদ্ধকালীন ততপরতার সঙ্গে শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। দুর্ঘটনার পরই চক্রধরপুর থেকে শুরু হয়েছে রিলিফ ট্রেন পরিষেবা। হাওড়া থেকে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস যাচ্ছিল ট্রেনটি। রেলের তরফে হাওড়া, টাটানগর, চক্রধরপুর ও রৌরকেল্লা স্টেশনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফেও হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে।
হাওড়া জিআরপি – ০৩৩২৬৪১৩০৯৬, ০৩৩২৬৪১৪২১৭, ০৩৩২৬৪১৩২৫৬, ০৩৩২৬৪১৩৫০৮, ০৩৩২৬৪২০৬৬৭
শিয়ালদহ জিআরপি – ০৩৩২৯৮৫৫৩৪৯, ০৩৩২৫৫৬৮৭২৬, ০৩৩২৩৫০৩৯৪০, ৯১৪৭৮৮৯৬২০, ৯৫৯৩৫০১৪৩৪
খড়গপুর জিআরপি – ০৩৩২২২২২৮০৪৪, ০৩২২২২২৬৯২৪, ৯১৪৭৮৮৯৬৯০
ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে বাতিল হয়েছে বহু ট্রেন। কিছু ট্রেন সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। কিছু ট্রেনের গতিপথ পরিবর্তনে করা হয়েছে। তাছাড়া, বাতিল আসানসোল-টাটা এক্সপ্রেস। পথ পরিবর্তন করা হয়েছে আরা-দুর্গ-সাউথ বিহার এক্সপ্রেসের। এছাড়াও আসানসোল-টাটা মেমু প্যাসেঞ্জার যাত্রা আদ্রা স্টেশনে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর, হাওড়া থেকে একাধিক এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু দুরপাল্লার ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে ছাড়বে বলে জানা গিয়েছে। চক্রধরপুর লাইন হয়ে যেসব ট্রেনের হাওড়ায় আসার কথা আছে, সেগুলির কমপক্ষে ছয় থেকে সাত ঘন্টা দেরিতে ঢুকবে।
অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে রেল দুর্ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রেলের পরিচালন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রেলকে প্রশ্ন ছুঁড়ে তাঁর বক্তব্য, ‘আর কতদিন এসব সহ্য করা হবে। সরকারের উদাসীনতা কবে শেষ হবে’। উল্লেখ্য, গত কয়েকমাসে বেশ কয়েকটি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। ডিব্রুগড়, রাঙাপানির পর এই রেল দুর্ঘটনা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে জনসাধারণের কাছে। চক্রধরপুরের রেল দুর্ঘটনায় শোকবার্তা পাঠিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন : বিজেপির বয়কট। তৃণমূলের প্রশস্তি। বিধানসভা ‘সুমন’ময়। কে সুমন