সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক:আবারও সেনা- জঙ্গির লড়াইয়ে উত্তপ্ত উপত্যকা। উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা (Kupwara) জেলায় জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর। রবিবার কুপওয়ারার কেরান সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একটি এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। সীমান্তে মোতায়েন নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় এখনও পর্যন্ত ৩ সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনার চিনার কর্পস। নিহত জঙ্গিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। নিহতদের কাছে যুদ্ধ করার মতো রসদ ছিল বলে জানা গেছে। চিনার কর্পস এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানায়, “কেরান সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযানে ৩ সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং অন্যান্য যুদ্ধের রসদ।”
সোমবার সকালেও এলাকা থমথমে। চলছে অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযান। রবিবার সকাল থেকেই জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখতে, কেরান সেক্টরে অপারেশন “ধনুশ-২” শুরু করেছিল ভারতীয় সেনা। গত ২৩শে জুন, বারামুলা জেলার নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে উরি সেক্টরে, সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযানে ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই অশান্ত জম্মু ও কাশ্মীর। একদিকে সেনাদের উপর হামলা চালাচ্ছে সন্ত্রাসীরা অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণ সীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের দিক থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিবাহিনী। বিগত কয়েক মাসে একাধিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)।
গত ৮ই জুলাই, জম্মুর কাঠুয়া জেলায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা। ৫ সেনা শহিদ হয়, আহত হয় আরও ৬। গত মাসে ১২ ও ১৪ই জুন, কাঠুয়ারই হীরানগর এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয় ১ সিআরপিএফ জওয়ান। ওই তল্লাশি অভিযানে ২ সন্ত্রাসবাদীকেও নির্মূল করে সেনা। গত ৯ই জুন জম্মুর রিয়াসি জেলায় একটি বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। তীর্থযাত্রীদের বাসে চলে এলোপাথারি গুলি। গুলির হামলা থেকে বাঁচতে বাসটি খাদে পড়ে যায়। ৯ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়। বহু মানুষ আহত হয়।
আরও পড়ুন : গ্রামোন্নয়নে বরাদ্দ অর্থ খরচে ‘ফেল’ অধিকাংশ জেলা ‘পাশ’ করতে পনেরো দিনের সময় দিল পঞ্চায়েত দফতর