অনুসূয়া দাস, প্রতিনিধি ঃ তফসিলি জাতি-উপজাতির সংরক্ষণ নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের। এবার তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত নাগরিকদের মধ্যেও হবে শ্রেণিবিন্যাস। নব বিন্যাসের ভিত্তিতে নতুন করে সাজানো হবে সংরক্ষণ ব্যবস্থা। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন। বে়ঞ্চে ছিলেন বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী, বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল, বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা। শীর্ষ আদালতের এইেে রায়ে বলা হয়, উপশ্রেণি চিহ্নিতকরণের বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ সমতার নীতি লঙ্ঘন করছে না। সাতজনের মধ্যে ৬জন বিচারপতিই তফসিলি জাতি- জনজাতিদের মধ্যে অতি পিছিয়ে পড়া অংশকে চিহ্নিত করে কোটার সুবিধার ছাড়পত্র দিলেও, ভিন্নমত পোষণ করেন বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। পরীক্ষা করে দেখা হয় ২০০৪ সালের ইভি চিন্নাইয়া বনাম অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের রায় ।
কী ছিল ২০০৪ সালের রায়ে?
২০০৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে মামলা গড়ায়। সেখানে বলা হয় সংবিধানের ৩৪১ অনুচ্ছেদ অনুসারে কোন জাতি বা কোন সম্প্রদায় সংরক্ষণের সুবিধা পেতে পারে, তা কেবল জানাতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এক্ষেত্রে রাজ্যের হস্তক্ষেপের কোনও জায়গা নেই। ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আদালত এই মামলার রায়দান স্থগিত রাখে।
তফসিলি জাতি জনজাতি এমনকি ওবিসিদের মধ্যে অতি পিছিয়ে পড়া অংশকে চিহ্নিত করে তাঁদের জন্য এসসি- এসটি কোটার মধ্যে পৃথক সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্যে।
বিহারে দেড় দশকেরও বেশি সময আগে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সরকার ওবিসি ও এসসির মধ্যে তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া অংশ অতি অনগ্রসর ও মহাদলিত হিসাবে চিহ্নিত করে পৃথক সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল।
১৯৭৫ সালে পঞ্জাব সরকার তার ততকালীন ২৫ শতাংশ এসসি সংরক্ষণকে দুটি ভাগে ভাগ করে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। প্রথম বিভাগে সংরক্ষিত আসনগুলি ছিল শুধুমাত্র বাল্মিকী ও মাজহাবি শিখ সম্প্রদায়ের জন্য। কারণ এই জাতিগুলি পঞ্জাবে অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত দিক দিয়ে সবথেকে পিছিয়ে থাকা শ্রেণি। এই আইন ৩০ বছর কার্যকর থাকলেও, ২০০৪ সালে তা আইনি বাধার মুখে পড়ে।
আরও পড়ুন : সাইবার হানায় বিপর্যস্ত ব্যাঙ্কিং পরিষেবা