অনুসূয়া দাস, প্রতিনিধি : হঠাতই কাজ করছে না অনলাইন পেমেন্ট? বারবার ব্যাঙ্ক বদলে টাকা পাঠাতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে আপনি বা আপনার পরিচিত কাউকে? ভাবছেন কী হল?
এর নেপথ্য রয়েছে সাইবার হানা। দেশের বিভিন্ন গ্রামীণও সমবায় ব্যাঙ্ক মিলিয়ে মোট ৩০০টি ব্যঙ্কের শাখায় সাইবার হানায় পরিষেবা। সবথেকে বেশি ব্যহত হচ্ছে অনলাইন টাকা লেনদেনের ইউপিআই পরিষেবা। বুধবার রাতে ঘটে এই সাইবার হানা। রানস্যামওয়ার আক্রমণের জেরে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমগুলিকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কী এই রানস্যামওয়ার ?
এই রানস্যামওয়ার এক ধরণের ম্যালওয়ার যা আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে সবকিছুর এক্সেস পেয়ে যায়। এটি আপনার কম্পিউটারে থাকা সমস্ত ফাইল দেখতে পারবে। ব্যবহারও করতে পারবে। তারপর তথ্য ফেরানোর জন্য চাইবে মুক্তিপণ।
এই সাইবার হানার ফলে দেশের ছোট ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাঙ্কিং কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। শোনা যায় এটিএম থেকে টাকা না তুলতে পারার অভিযোগও। একই সঙ্গে সমস্যায় পড়তে হয় ইউপিআই থেকে টাকা ট্রান্সফার করার ক্ষেত্রেও। প্রযুক্তিগত ত্রুটির প্রভাব পড়েছে সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে গ্রামীণ অঞ্চলের ব্যাঙ্কগুলির গ্রাহকদের উপর। বিশেষ প্রভাব পড়েছে যারা এসবিআই ও টিসিএস যৌথ উদ্যোগ সি-এজ টেকনোলজিসের উপর নির্ভরশীল। গত দুদিন ধরে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সি-এজ টোকনোলজিসের। ধরা পড়েছিল সিস্টেম ব্রিচ। এমন অবস্থায় বড় পেমেন্ট সিস্টেম রক্ষায় সিএজ সিস্টেমকে বিচ্ছিন্ন করতে হয়েছে এবং অবলম্বন করতে হয়েছে প্রয়োজনীয় সতর্কতার
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডের বিদ্যাসাগর কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে সাইবার হানায় বন্ধ অনলাইন পরিষেবা। দীর্ঘ লাইন দিয়ে তুলতে হচ্ছে টাকা। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় এনপিসিআইয়ের তরফে। জানানো হয়, ভারতে প্রায় দেড় হাজার সমবায় ও আঞ্চলিক ব্যাঙ্ক রয়েছে। যেগুলির বেশিরভাগই বড় শহরের বাইরে কাজ করে। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক। এই সাইবার হানার ফলে দেশের মোট লেনদেনের খুব ছোট অংশই প্রভাবিত হয়েছে। এনপিসিআইয়ের তরফে চালানো হয় অডিট, যাতে এই হানা ছড়িয়ে পড়তে না পারে। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক ও সাইবার কর্তৃপক্ষ গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সমস্ত ব্যাঙ্কগুলিকে সতর্ক করেছিল। তার মধ্যেই এই হানা। তবে এই বিষয় মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন : ১ আগস্ট থেকে ফ্যাস্টাগে নতুন নিয়ম