অনেক হয়েছে আর নয়। এবার আর কোনো বাবা বাছা নয়, এবার হুমায়ূন কবীর কে দলীয় শৃঙ্খলায় বাঁধতে চলেছে তৃণমূল। মঙ্গলবার পরিষদীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে সশরীরে হাজির হতে বলা হলো ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ককে।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- চার মাস আগেই একবার শোকজের মুখে পড়েছিলেন হুমায়ূন কবীর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে মন্তব্যের জেরে গতবছর (২০১৪) ২৭ নভেম্বর তাঁকে শোকজ করে তৃণমূল পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি, যার উত্তর হুমায়ূন কবীর দিয়েছিলেন ২৯ নভেম্বর। তাঁর সেই উত্তরে সন্তুষ্ট না হলেও এই বিষয় নিয়ে আর এগোতে চায় নি দল। কিন্তু সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী মুসলিম বিধায়ক নিয়ে মন্তব্য করার পর ভরতপুরের এই বিধায়ক যেভাবে একের পর এক মন্তব্য করে চলেছেন তাতে অস্বস্তিতে পড়ছে দল। সেই কারণে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত ১৩ মার্চ হুমায়ূন কে ফের একবার শোকজ করা হয়। সেই শোকজের উত্তর দিয়েছেন হুমায়ূন। যদিও সেই উত্তরে সন্তুষ্ট নয় পরিষদীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।
সোমবার বিধানসভায় প্রথম অর্ধ শেষ হওয়ার পর বিরতিতে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় এর ঘরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সদস্যরা। ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী ছাড়াও ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৈঠক শেষে পরিষদীয় মন্ত্রী তথা শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় জানান, হুমায়ূন কবীরের জবাবে সন্তুষ্ট হন নি তাঁরা। হুমায়ূন কবীর যতই জানাক যে তিনি ব্যক্তি হিসাবে মন্তব্য করেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে নয়, এই বক্তব্যকে আমল দিতে রাজি নয় কমিটি। কমিটির বক্তব্য তিনি (হুমায়ূন কবীর) যদি তৃণমূল বিধায়ক না হতেন তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত হতে পারতো। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে হুমায়ূন এই ধরনের কথা বলতে পারেন না। এই কারণে হুমায়ূন কবীর কে আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সামনে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এবার হুমায়ূন কবীর কে কড়া ভাবে দলের বার্তা দেওয়া হবে। হয় মানো, নয়তো দল ব্যবস্থা নেবে। এখন দেখার বিষয় মঙ্গলবার হুমায়ূন কবীর কমিটির সামনে কোন অবস্থান নেন।