সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- বৃহস্পতিবার রাত থেকে জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী কয়েকটি এলাকায় শুরু হয়েছে গুলির লড়াই। এই সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি আলতাফ লাল্লি। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই কাশ্মীরের আনাচে কানাচে চলছে সেনা অভিযান। বৃহস্পতিবার রাতে কুলগাম, উধমপুরের পরে শুক্রবার সকাল থেকে বান্দিপোরায় শুরু হয় সেনা-জঙ্গি এনকাউন্টার। ২২ তারিখের হামলার সঙ্গে যুক্ত লস্কর জঙ্গিদের খোঁজে খানা তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার সকালে সোর্স মারফত গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে এই তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এদিন সকালে বন্দিপোরায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অবস্থান চিহ্নিত করার পরে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে। এরপরেই শুরু হয় গুলির লড়াই। গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় কুখ্যাত কমান্ডার আলতাফ লাল্লি। সংঘর্ষের শুরুতে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এক জঙ্গি গুরুতর জখম হয়। চলতে থাকে সংঘর্ষ। এই সংঘর্ষেই এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যও আহত হয়েছেন। যদিও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে সূত্রের খবর, মৃত জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। সে লস্কর-ই-তৈবা গোষ্ঠীর একজন প্রভাবশালী কমান্ডর এবং একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত ছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলায় আরও একটি সংঘর্ষের খবর উঠে আসছে। সেখানে জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার কড়া অবস্থানে রয়েছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার পর নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে উপত্যকার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র, সেনা ঘাঁটি এবং জনবহুল এলাকাগুলোয়।