জাপানিরা বিশ্বাস করেন ওয়ার ফিসকে “ডুমসডে ফিস” বলা হয় কারণ ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি এর উপস্থিতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্ক বার্তা দেয়।
মৌসুমী সাহা, সাংবাদিক- ওয়ারফিশ লম্বাটে ফিতের মত মাছ সাধারণত ২০০ এবং হাজার মিটার সমুদ্রের গভীরে বসবাস করে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ ফুট, আনুমানিক ৯ মিটার বা এর থেকে ও বেশি লম্বা হতে পারে। বলা যায় সবচেয়ে লম্বা হাড়ের মাছ এটি। এই মাছটি খুব একটা দেখা যায় না সমুদ্রপারে। মেক্সিকো,নিউজিল্যান্ড,এবং অস্ট্রেলিয়ার পর এই মাছটি আবার দেখা মিলল ভারতে।
তামিলনাড়ু উপকূলে দেখা গেলো এই ডুমসডে মাছ টিকে। যা অত্যন্ত বিরল বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী প্রায় ৩০ ফুট লম্বা এই মাছটিকে উদ্ধার করে। দেখা যায় প্রায় ৭ জন মৎস্যজীবী ধরে রয়েছেন এই মাছটিকে।
ডুমসডে যদিও প্রাণঘাতী মাছ নয়, ধীর গতিতে চলা,আলস মাছ। তবে জাপানিরা বিশ্বাস করেন প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসন্ন হলে তার পূর্বাভাস স্বরূপ এই মাছ সমুদ্রে ভেসে আসে। বিশেষতঃ ভূমিকম্পের আভাস নাকি তারা পায়। তাই মানুষ কে সতর্ক করতে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। এর আগেও সুনামির সময় নাকি এই মাছ দেখা গিয়েছিল।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল বরাবর বাজা ক্যালিফোর্নিয়ায় এই মাছের দেখা মেলে।
সাম্প্রতিককালে ভূমিকম্পের প্রবণতা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ওয়ার ফিশ দেখা গিয়েছিল অগাস্ট মাসে, ৪.৪মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার মাত্র দুদিন আগে ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো উপকূলে ১২ ফুট লম্বা একটি ওয়ারফিশ দেখা গিয়েছিল। এই মাছটিকে আকৃতির কারণে সামুদ্রিক সাপের সঙ্গে তুলনা করা হয়। ভূমিকম্পের সাথে ওয়ারফিসের বারবার দেখা যাবার ঘটনাটিকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা যায় না ।তবে কি নতুন কোনো আশঙ্কা নাকি শুধুই কুসংস্কার, এখন সেটাই দেখার।