ওয়েব ডেস্ক: দুই শিশুর ধড় ও মুন্ডু আলাদা করে খুন করল সুনিল ওঁড়াও নামক এক দোকানদার।
খুন করে সেই অংশগুলি পুঁতে রাখল তার দোকানে পাশেই। বুধবারে এই ঘটনার সম্মুখিন হল ঝাড়খন্ডের সামেরহাট গ্রাম। তবে খুনের কথা স্বীকার করেছে ওই দোকানদার।
বুধবার রাতে কিছু জিনিস কিনতে ১০ বছরের একটি মেয়ে যায়। তার কিছুক্ষণপরই দোকানটিতে যায় একটি ১১ বছরের কিশোর। সেই সময় দোকানে কেউই ছিল না।
ওই দোকানদার দুজনকেই ভুলিয়ে দোকানেরস পিছনে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই একটি কুড়ুল নিয়ে দুজনেরই ধড় থেকে মাথা আলাদা করে খুন করে। পরে তাদের দেহগুলি পুঁতে রাখে দোকানের কাছেই জড়ো করা বালির নীচে।
আর মাথাগুলি রাখে ওই জায়গা থেকে একটু দূরে। অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও দুটো বাচ্চার কেউই বাড়ি না ফিরলে তাদের পরিবার দ্বারস্থ হন পুলিশের। পুলিশের তদন্তে প্রথমেই সন্দেহ হয় ওই ব্যক্তিকে।
গ্রেফতারের কথা বুঝতে পেরে পালানোরও চেষ্টা করে সে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতেই পাচখেরি চক থেকে পুলিশের হাতে ধরা পরে সেই দোকানদার।
পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃত ব্যক্তি। উদ্ধার হয় কুড়ুলটিও। প্রথমে তদন্তকারীদের নরবলি বা ব্ল্যাক ম্যাজিকের ব্যাপার বলে মনে হলেও পরে সেই ভ্রান্তি কাটে।
ঝাড়খণ্ড পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতালে ধৃতের শারীরিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে সে মানসিক ভারসাম্যহীন। ওই দোকানদার আগেও ২০০৯ সালে বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদে নিজের কাকা এবং আর এক আত্মীয়কে খুন করেছিল। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিল।