ওয়েব ডেস্ক: সেই গানের লাইনটা মনে আছে? হৃদয়ে লেখো নাম সে নাম রয়ে যাবে। শত ব্যস্ততার মাঝেও ভালোবাসার দিনে উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক IAS তুষার সিংলা তাঁর চার বছরের প্রেমিকার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন। ভাবছেন এ এমন কি বিশেষ খবর! IAS তুষার সিংলা গত চার বছর যাঁর সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন তিনি IPS আধিকারিক বিহারের ডিএসপি নভজিৎ সিমি। দুজনেই তাঁদের কর্মজীবনে চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যে থাকেন। সূত্রের খবর, ব্যস্ততার কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করতে পারেননি। ভালোবাসার দিনটিকে তাই বিশেষভাবে স্মরণীয় করে রাখতে আইন মেনে শুভ পরিনয়ে আবদ্ধ হলেন দুই উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারীক।
মহকুমা শাসকের অফিসে বসেই সেরে ফেললেন রেজিস্ট্রি ম্যারেজ। শুক্রবার দুপুরে উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক তুষার সিংলাকে সাদা শার্ট, কোর্ট পড়ে কাজ করতে দেখা যায়। তাঁর পাশে নববধুর বেশে উপস্থিত ছিলেন মেরুন রঙের হালকা বেনারসী, মাথা সিঁদুরে রাঙানো বিহারের ডিএসপি IPS নভজিৎ সিমি। শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ রেজিস্ট্রি কাগজে সই করলেন তাঁরা। মহকুমা শাসকের বাংলোতে দুই পরিবারের উপস্থিতিতেই রেজিস্ট্রি বিয়ে সারেন মহকুমা শাসক। উপস্থিত ছিলেন তুষারের মা কিরণ সিংলা। নভজিৎ সিমির মা দলবীর কউর, বাবা হংসরাজ।
নভজিৎ সিমির ভগ্নিপতি বিশাল গোয়েল। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই নভোজিৎ সিমি পাটনা থেকে সপরিবারে চলে এসেছিলেন হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। পাত্র-পাত্রী দুজনেই জন্মসূত্রে পঞ্জাবের বাসিন্দা। ভালোবাসার দিনে দুই অফিসারের বিয়ের আনন্দ উপভোগ করলেন উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসকের দফতরের কর্মীরা। রেজিস্ট্রির স্মরণীয় মুহুর্তের ছবিগুলি অনেকেই ক্যামেরা বন্দি করেছেন। ভালোবাসার দিনটিকেই কেন বিয়ের দিন হিসাবে বেছে নিলেন সে বিষয়ে অবশ্যই কিছুই জানাননি নবদম্পতি। কর্মব্যস্ত জীবনের অজুহাতে ভালোবাসার জন্য সময় নেই অনেকেরই। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে যে উপায় করা যায় ভালোবাসার দিনে সেই উদাহরণ তৈরি করলেন দুই উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিক।