Date : 2024-04-23

খেয়ে নয় এই চিংড়ির সঙ্গে ছবি তুলে তৃপ্তি….

ওয়েব ডেস্ক: ভাবুন তো, বাজারে গিয়ে ক্রেতার সামনে নড়াচড়া করছে লালচে রঙের আস্ত একটা গলদা চিংড়ি। আপনার চোখে তখন গনগনে আঁচে কড়াইতে ফুটন্ত তেলে ছ্যাঁক-ছ্যোঁক করে ভাজা চিংড়ির ছবি ভেসে উঠছে। জিভে আসছে জল, মনে আসছে কবিগুরুর কবিতার সেই লাইনগুলি, “গলদা চিংড়ি তিংড়ি মিংড়ি/ লম্বা দাঁড়ার করতাল…”। আহা… তবে এই চিংড়ি খাওয়ার থেকেও ছবি তুলে রাখা ভালো।

চিংড়ির ওজন ১০ কেজি আর তার বয়স মাত্র ৯৫ বছর। এই নিয়ে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলিতে। আকর্ষণীয় এই প্রাণীকে বিক্রি বা রান্না না করে এর জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে একটি সামুদ্রিক খাবার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুন : সন্তানের টানে ফিরল বিমান…

বিক্রি করার দারুণ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও চিংড়িটিকে লং আইল্যান্ড অ্যাকুরিয়ামে দান করে দিয়েছে তারা। ২০১৫ সালের পর থেকে সেই বৃহদাকার চিংড়ির স্থান হয়েছে সেই অ্যাকুরিয়ামে।

নিউইয়র্কের আইল্যান্ড পার্কের জর্ডান গলদা চিংড়ির খামারের মালিক স্টিফেন জর্ডান বলেন, এটি একটি ছোটখাটো ডাইনোসরের মতো। তাঁর দোকানে আসা ক্রেতারা চিংড়িটির সঙ্গে ছবি তুলতেই বেশি পছন্দ করে। তখনই ৯৫ বছরের এই চিংড়িটি বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

আরও পড়ুন: দল বেঁধে ওরা প্যান্ট খুলে মেট্রোয় চড়ছেন, কিন্তু কেন?

জর্ডনের খামারে চিংড়ির সঙ্গে ছবি তুলেছেন অনেকেই। অ্যাকুরিয়ামে রাখা এই চিংড়ির সঙ্গে ছবি তুলতে আসেন অনেকেই। দর্শকদের দেখতে সাহায্য করার জন্য এই মাছটিকে তুলে ধরতে একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের শক্তি দরকার হয়। পর্যাপ্ত খাওয়া দাওয়া আর পরিচর্যা পেয়ে দিব্যি আছে সেই ১০ কেজির চিংড়ি। তবে দেহের ওজনের কারণে “তিংড়ি-মিংড়ি” করার ক্ষমতা অবশ্য নেই।