Date : 2024-04-20

শিবভক্তদের ফলাহার করিয়ে সম্প্রীতির বার্তা মুসলিম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের….

ওয়েব ডেস্ক: বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই এদেশের সম্পদ। তাই বার বার সেই নজির গড়ে ওঠে এদেশে একসঙ্গে বসবাসকারী ভিন্ন ভিন্ন জাতি, ধর্ম, ভাষা-ভাষীর মানুষের মধ্যে। পারস্পরিক সংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় আদান প্রদান ভারতের জাতীয় ঐতিহ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল কানপুরবাসী। দেশের বিভিন্ন জায়গায় যখন মৌলবাদী শক্তি ক্রমশ মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে তখন কানপুরের হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ফল,দুধ খাইয়ে অন্য নজির সৃষ্টি করলেন মুসলিমরা।

এই উদ্যোগের ফলে প্রশাংসিত হয়েছেন এলাকাবাসীরা। গতকাল ছিল শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার। শিবপুরাণ মতে এই দিনটি শিব ভক্তদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র দিন। তাই প্রতি বছরের মতো এই বছরেও ওই দিনে শিবপুজোর জন্য কানপুরের সিদ্ধান্ত ঘাটে ভক্তদের ঢল নামে শিব পুজোর জন্য।

আরও পড়ুন : অমরনাথ যাত্রাপথে ২ পূণ্যার্থীর মৃত্যু

কিন্তু এই বছর অন্য ঘটনা দেখলেন তারা। সকাল সকাল ঘাটে পুজো দিতে গিয়ে তারা দেখলেন তাদের জন্য সেখানে ফল, দুধ নিয়ে অপেক্ষা করছেন এলাকার বেশ কয়েকজন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ।

আর শিব লিঙ্গের পুজা করে যেই ভক্তরা মন্দির থেকে বেড়িয়ে আসছে তাদের হাতে উপোস ভেঙে ফলাহার করার জন্য মুসলিমরা তুলে দিচ্ছেন নানা রকমের ফল আর দুধ। এমনিতে কানপুর শহরে গঙ্গা-যামুনি তেহজিবের হয়ে কাজ করে কানপুর সামাই সমিতি।

আরও পড়ুন সদ্যজাতকে ড্রেনে, উদ্ধার করল কুকুর

বেশ কয়েক বছর ধরে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটায় এবার এই আসাধারন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার বেশ কিছু মুসলিম। যেভাবে সেখানে মুসলিমরা হিন্দু ভক্তদের ফল দুধ খাইয়ে তাদের সেবা করছেন তাতে তারা অভিভূত।

এদিন মুসলিম সেচ্ছাসেবি সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয়, “ভারতবর্ষ বিভিন্ন ধর্মের আতুঁড়ঘর। আর প্রতিটি ধর্মের মানুষই খুব আবেগপ্রবণ। মানুষ ও ভগবানের তৈরি সমস্ত কিছুর প্রতি ভালবাসা আছে তাদের। যেভাবে আমরা নিজেদের ধর্মকে সম্মান করি অন্যদের ধর্মকেও সেই চোখে দেখি। কারণ আমরা সবাই মনে করি যে সবধর্মই সমান।” পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সম্প্রীতির বার্তা আরও বেশি পবিত্র ও সুন্দর করে তুলল কানপুরের সিদ্ধান্ত ঘাটের ছবিটা।