ওয়েব ডেস্ক: খাবার দাওয়ারে ছুঁত মার্গ নিয়ে অনেকদিন ধরেই বাছ-বিচার চলছে এই দেশের মানুষের মধ্যে। খাবার নিয়ে যখন এতকিছু তখন জলই বা বাদ যায় কেন, জল যার আকার নেই, বর্ণ নেই গন্ধ নেই বলেই এতদিন জানতাম, তার আবার আমিষ-নিরামিষ বিচার শুরু হল। আমিষ জলকে নিরামিষে পরিবর্তিত করে দেবে একটি নামী ব্র্যান্ডের ওয়াটার পিউরিফায়ারের এমন দাবি শুনে অবাক গোটা দুনিয়া। শাক-সব্জি, শস্য মানে যেমন নিরামিষ খাদ্য (অবশ্য স্থান ভেদে আবার রসুন, পিঁয়াজকেও আমিষ ভাবে অনেকেই)তেমন মাছ, মাংস আমিষ খাদ্য এতদিন এমনটাই জানতো ভারতীয়রা।
কিন্তু জলেরও আমিষ-নিরামিষ আছে, ওয়াটার পিউরিফায়ার সংস্থা এবার সেটাও ব্যাখ্যা দিল। ওই ওয়াটার পিউরিফায়ারের দাবি রাসায়নিকের মাধ্যমে জলে উপস্থিত থাকে অতিক্ষুদ্র জীবকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
ক্ষতিকারক নয় তাই ওই ক্ষুদ্র জীব সমেতই আমরা জল পান করে থাকি। সেই জলকেই আমিষ জল বলছে এই ওয়াটার পিউরিফায়ার সংস্থা। টুইট্যারে এমন ওই ওয়াটার পিউরিফায়ার সংস্থার বিজ্ঞাপন সামনে আসতেই নেটিজেনরা বলতে শুরু করে এতদিন তবে আমিষ জল পান করে ভারতীয়রা ধর্মভ্রষ্ট হয়েছেন?
আরও পড়ুন : আপনি কী মাঙ্গলিক? তাহলে দেখে নিন মাঙ্গলিক দোষ কাটানোর উপায়
অনেকের আবার দাবি এই সব কিছুই আসলে বিজ্ঞাপনী কৌশল। যদিও এই চটক দিব্যি কাজে এসেছে কোম্পানির। ইতিমধ্যে তাদের ব্রান্ড সম্পর্কে অনেকেই আগ্রহ দেখিয়ে না প্রশ্ন করতে শুরু করেছে।
এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, খাবারের সঙ্গে সঙ্গে এবার জলেরও বাছাই শুরু হল বলে। পরিসংখ্যান বলছে এদেশের শতকরা ৬০ শতাংশ মানুষই ভেজিটেরিয়ান। সকালে উঠে পেস্ট ব্যাবহার করার সময়ও তারা গ্রিণ ছাপ দেখে নেন। আইসক্রিম খেতে গেলে জিলেটিন ছাড়া খান।
আরও পড়ুন : শুধুই ডিম খান! এই কাজগুলি ডিম দিয়ে করে দেখুন তো
অনেকের বিশ্বাস এই জিলেটিন আসলে হাড়ের গুড়ো দিয়ে তৈরি হয়। বাধ্য হয়ে অনেক কেক কোম্পানি এখন ডিম ছাড়াই কেক বানাতে শুরু করেছে। নিরামিষ-আমিষের চক্করে পরে সমস্ত খাদ্যদ্রব্যের গায়েই লাল অথবা সবুজ চিহ্ন ব্যবহার করে ক্রেতাদের আশ্বস্ত করতে হচ্ছে।
প্রশ্ন এবার জলের নিরামিষ-আমিষ বিচার শুরু হলে বাজার চলতি প্যাকেজ ড্রিংকিংওয়াটার কোম্পানিগুলোর কোম্পানির কপালে এবার চিন্তার ভাঁজ পরল তা আর নতুন করে না বললেও চলে।