ওয়েব ডেস্ক: গরমের ছুটি মানেই অধিকাংশ মানুষের ডেস্টিনেশন হয়ে থাকে হিমালয়ের কোলে অপূর্ব প্রাকৃতিক শোভায় সজ্জিত কোন শহর। হিন্দুদের অধিকাংশ ধর্মীয় স্থান অবস্থান করছে হিমালয়ের উপত্যকা অঞ্চল জুড়ে। এগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অলোকানন্দা নদীর উপর নির্মিত লক্ষণ ঝুলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে হৃষীকেশে আগত হিন্দু তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের আবেগ। ৯৬ বছরের পুরনো এই সেতু এবার চিরতরে বিশ্রামের পথে চলে যাচ্ছে।
ক্রমশ জীর্ণ হয়ে পড়া এই প্রাচীন সেতু ভারবহন ক্ষমতায় অক্ষম। তাই যাত্রী সুরক্ষার জন্য আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে লক্ষণ ঝুলা সেতু। উত্তরাখণ্ডের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এই বিষয়ে জানিয়েছেন, লক্ষণ ঝুলার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বার্ধক্যের ছাপ স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি, বিপর্যস্ত আসাম
এই সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করলে যে কোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। বিশেষজ্ঞদের মত, এই সেতু এতই জীর্ণতা প্রাপ্ত হয়েছে যে এই মুহুর্তে সেতুর মেরামত করে সচল রাখাও সম্ভব নয়।
তাই আগামী শুক্রবার থেকেই অফিসিয়ালি বন্ধ করে দেওয়া হল লক্ষণ ঝুলা সেতু। সেতুর স্বাস্থ্য ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখেছে বিশেষজ্ঞ টিম। তাদের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে সেতু বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উল্টোরথ বলে পুরীতে আসলে কোন অনুষ্ঠান নেই, জানুন আসল তথ্য
গঙ্গার পশ্চিম তীরে তেহরি জেলার তপোবন গ্রামের সঙ্গে উরি জেলার জঙ্ক-র সংযোগ ঘটিয়েছে এই সেতুটি। ঋষীকেশ নামটি মনে আসলেই পর্যটকদের মনে ভেসে ওঠে লক্ষণ ঝুলার ছবি।
অসংখ্য মানুষ বিস্তৃত অলোকানন্দার বুকে এই সেতুর মাধ্যমেই পৌঁছে যেতে পারেন।১৯২৩ সালে নির্মিত এই সেতুর উপর থেকে দাঁড়িয়ে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার দিন শেষ হল সব পর্যটকদের। পায়েরতলা দিয়ে বয়ে যাবে গঙ্গা, মানব সভ্যতার পদধুলি জমতে শুরু করবে লক্ষণ ঝুলায়। দূর থেকে সেতুর ছবি শুধু ফ্রেম বন্দি করবে মানুষ।