Date : 2024-03-28

পুত্রশোক কাটিয়ে পুত্রবধুর ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিয়ে দিলেন শ্বশুর মশাই….

মেদিনীপুর: স্বামীর মৃত্যু হয়েছে প্রায় মাস ছ’য়েক আগেই। এই সময় শশুরবাড়িতে গঞ্জনা ছাড়া আর কি বা জুটতে পারে একটি মেয়ের কপালে। কিন্তু না, শ্বশুরবাড়ি মানেই চিরাচরিত নিয়ম এটাই নয়। অন্তত মুকুন্দ মাইতির মতো শ্বশুর সব মেয়ের ভাগ্যে থাকে না। যে মেয়ের ভাগ্যে থাকে তাঁর জীবন বদলে যেতে বাধ্য। ছেলের মৃত্যু হয়েছে হঠাৎ-ই। বউমার বয়স মাত্র ১৯ বছর। মেয়েটার সামনে পড়ে আছে গোটা জীবন। ভাগ্যের পরিহাস, কি বা করবে সে?

আরও পড়ুন : ভালোবেসে নিজের কম্বলকেই বিয়ে করলেন এই মহিলা

বিধবা বৌমাকে আগলে রাখেছেন শ্বশুর। অবশেষে ১৯ বছরের উমার ভবিষ্যতের কথা ভেবে তার বিয়ের ব্যবস্থা করলেন শ্বশুরমশাই নিজেই। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। একমাত্র ছেলে অমিত মাইতি স্বনির্ভর হওয়ার পর আনন্দ করে তার বিয়ে দিয়ে ঘরে পুত্রবধু এনেছিলেন মুকুন্দবাবু ও তার স্ত্রী গায়ত্রীদেবী। বিয়ের একমাস পর বৌকে রেখে ছেলে চলে গেছিল কাজের উদ্দেশ্যে সুদূর মহীশূরে। এরপর দীর্ঘ সময় দেখা হয়নি আর দুজনের। উমা থাকতেন শ্বশুরবাড়িতেই।

মাস ৬ আগে মহীশূর থেকে ফেরার পথে ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়ে অমিত। অনেক চেষ্টা করলেও তাঁকে বাঁচানো আর সম্ভব হয়নি। স্বামীর মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়ে তার স্ত্রী উমা। এদিকে পুত্রহারা বাবা-মা বৌমার ভবিষ্যতের কথা ভাবিয়ে তোলে দম্পতিকে। এরপর থেকেই বিধবা কন্যাদায়গ্রস্থ পিতার মতো শ্বশুর বৌমার বিয়ের চেষ্টা করতে শুরু করেন। অবশেষে পাঁশকুড়ার শ্যামসুন্দরপুরের পাটনা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মাইতিকে পছন্দ হয় তাদের। স্বপন পেশায় স্কুল শিক্ষক।

আরও পড়ুন : পোষ্য কুকুরকে বিয়ে করলেন এই মডেল, দেখুন বিরল ভিডিও

প্রৌঢ় শ্বশুর তার সঙ্গেই নিজের পুত্রবধুর বিবাহ স্থির করেন। স্থানীয় কালী মন্দিরে বিয়ের আয়োজন করেন মুকুন্দ বাবু। রীতিমতো পাত পেরে আত্মীয় স্বজনদের খাওয়ান তিনি। একটি মেয়ের জীবনকে নতুন রূপ দিয়েছেন মুকুন্দবাবু। তার এই উদ্যোগকে প্রশংসা করেছেন বিয়ের অনুষ্ঠানেরা আমন্ত্রিতরা সকলেই।