Date : 2024-04-20

বাড়ি বাড়ি বই সংগ্রহ করে গরীব বাচ্চাদের বিতরণ করে চণ্ডিগড়ের কুমার…

ওয়েব ডেস্ক: আজ প্রায় বহু যুগ কেটে গেছে ভারতবর্ষ একটি উন্নয়নশীল দেশ। সেই কারণেই এখানে এখন বহু ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করার খরচ তো দূরেরই কথা, সামান্য বইখাতা কেনাও সামর্থ রাখতে পারেনা।

সারা দেশ জুড়ে এই সমস্যার সমাধান হয়তো করাটা সময়সাপেক্ষ এবং কঠিনও বটে। তবে একেবারে অসম্ভব নয়। তবে মনে ইচ্ছে রাখতে হবে। সেই কারণেই চণ্ডিগড়ের সন্দীপ কুমার ঠিক এমনই একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। চণ্ডিগড়ের সেসমস্ত ছেলেমেয়েদের বইখাতা জোগার করার ক্ষমতা নেই, সেই ধরনের পরিবারের কাছে “মসিহা” সন্দীপ। তিনি শুরু করেছেন একটি সংস্থা, যার নাম “ওপেন আই ফাউন্ডেশন”।

স্বাভাবিকের পথে কাশ্মীর, আংশিক চালু ইন্টারনেট ও ফোন…

এই সংস্থা থেকে লোক গিয়ে কিছু স্কুল, কলেজ ও যেসমস্ত পরিবারের বই কেনার ক্ষমতা নেই, তাদেরকে বই দেন। তবে সেই বইগুলো একটাও দোকান থেকে কেনেনা কুমার। বরং বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাচ্চাদের জন্য পুরোনো বই সংগ্রহ করে। এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার বই ওনারা সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন বাড়ি থেকে । তবে কুমারের স্বপ্নের দৌড়ের সীমান্ত বহুদূর বিস্তৃত। সে চায়, এই সংস্থা থেকে ভবিষ্যতে ২০০ জন বাচ্চা ছেলেমেয়েদের দত্তক নিতে।

অ্যাপ ক্যাবের ভাড়ায় চক্ষু চড়কগাছ? তাতে কি, বাড়ি ফেরাল জোম্যাটো….

সেই কারণে তিনি চান যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে নানা মানুষ এগিয়ে আসেন নিজের থেকে। পেশায় শিক্ষক এই ব্যক্তি শিক্ষকতার পাঠ নেওয়ার সময়েই বুঝতে শেখেনযে কতো বাচ্চারা কেবল বই না কিনতে পারার কারণে জীবনে থেমে থাকতে বাধ্য হয়। এরপর চণ্ডিগডে ফিরে যেন আরও খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হন। সেই মূহূর্তে হঠাৎই একদিন তাঁর নিজের পুরোনো বইগুলোর দিকে চোখ পড়ে।

১০ বছর ধরে টাকা জমিয়ে, রাস্তার সারমেয়দের জন্য অ্যাম্বুলেন্স কিনল এই ব্যক্তি…

ঠিক তখনই কুমারের মাথায় খেলে যায় একটা দারুণ বুদ্ধি। সেই দরুণই তিনি শুরু করেন এই সংস্থাটি। আজ এই সংস্থাটি নিয়েছে এক বড় রূপ। প্রায় ২০০ জন ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা শেখানো থেকে শুরু করে, তাদের বইখাতার অভাব পূরণ করে কুমার ও তার টিম। কুর্নিশ জানানো উচিৎ এমন একটি উদ্যোগকে।