ওয়েব ডেস্ক: সীমান্তে জারি হাই এলার্ট, পাক নাশকতার হুমকিতে দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা, সব কিছুর মূলে সেই ৩৭০ ধারা বিলোপ। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বঞ্চিত কাশ্মীরকে ছন্দে ফেরানোর এবং সেখানে উন্নয়নের আশ্বাস দেওয়া হয়। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে লাদাখ এবং কাশ্মীরকে ভাগ করে দেওয়া নিয়ে দেশের অভ্যন্তরেও বিরোধীতার সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার সকাল থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে শিথিল করে দেওয়া হয় ১৪৪ ধারা। ঈদের আগে কাশ্মীরিরা যাতে কেনাকাটা করতে পারেন, রাজ্যের বাইরে থাকা কাশ্মীরিরা যাতে ঘরে ফিরতে পারেন তাই ধিরে ধিরে ছন্দে ফিরছে জম্মু-কাশ্মীর।
বৃহস্পতিবার বিকেলের পর শ্রীনগরে খুলতে শুরু করেছে দেকানপাট। পথে নামতে শুরু করেছে কর্মস্থলমুখী সাধারণ মানুষ। শুক্রবার সকালে নামাজ পড়তে মসজিদ গুলিতে ভিড় চোখে পড়ে। খুলেছে বেশ কিছু স্কুল-কলেজ, সরকারি দফতর।
এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, কাশ্মীর উন্নয়ন প্রসঙ্গে আপাতত ধিরে চলো নীতি গ্রহণ করছে কেন্দ্র সরকার। বৃহস্পতিবার প্রধাণমন্ত্রী জানা, কাশ্মীরে এবার ভোট হবে, মানুষ নিজের পছন্দের মানুষকে পাবেন জনপ্রতিনিধি রূপে।
এমনকি কাশ্মীরে ফিরিয়ে আনা হবে রাজ্যের মর্যাদা। আজ থেকেই সরকারী কাজে যোগদান করার জন্য জম্মু প্রশাসনের তরফে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার ৩৭০ ধারা রদ করার পর কাশ্মীরে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে প্রচুর আধাসেনা মোতায়েন করা হয়। উত্তেজনা পূর্ণ এলাকাগুলিতে চলে কারফিউ। বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল, টিভি ও ইন্টারনেট পরিষেবা। চাপা উত্তেজনা থাকলেও কাশ্মীরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়। শুক্রবার থেকে ঔষধ, খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদি স্বাভাবিক ভাবেই মিলতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক চাপানউতোর পেরিয়েও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ শান্তির পক্ষেই আস্থা দিয়েছে।