কলকাতা: ময়দানের কাছে গত বছর বর্জ্রাঘাতে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল দুই হবু দম্পতির। বিয়ের বাজার করতে এসে মর্মান্তিক পরিনতি হয়েছিল তাদের। সেদিনও ছিল বৃষ্টির রাত, বছর ঘুরতেই সেই স্মৃতিই ফিরে এলো শহরে। স্ত্রীর জন্মদিনে ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালে বেড়াতে এসে বাজ পড়ে মৃত্যু হল দমদমের বাসিন্দা সুবীর পালের। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন। এসএসকেএম-এ নিয়ে গেলে আহতদের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
শনিবারেও জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যুর খবর আসে। বাজ পড়া ঠেকাতে গত বছরই নবান্নে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা জানানো হয়। কিন্তু সেই প্রযুক্তি যে ডাহা ফেল তা গত কালের ঘটনা থেকেই জানা গেছে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী প্রতি বছর বাজ পড়ে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন : আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ, মৃদু কম্পন দক্ষিণে, সতর্ক দীঘা
তাই গতবছর এই সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল রাজ্য সরকার। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে বাজ পড়ার ১-২ ঘন্টা আগেই অগ্রিম সতর্কতা জানিয়ে দেওয়া যাবে এই বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে।
আরও পড়ুন : ফেলে দেওয়া প্লাস্টিককে রিসাইকেল করে মেঘালয়ে তৈরি করা হচ্ছে “প্লাস্টিক রোড”
রাজ্যের মোট ৮ টি জায়গায় লাগানো হয় এই সেন্সর যন্ত্র। সেন্সর কাজ না করার প্রধান কারণ হল দূরত্ব। এর ফলে সেন্সরের সার্ভার ঠিক মতো কাজ করেনি। ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের এই বিশেষ প্রযুক্তির ব্যাবহার করে তাতে কিছুই কাজ না হওয়ায় পুনরায় এই যন্ত্র খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। এই যন্ত্র ঠিক মতো কাজ করলেই বিপদের হাত থেকে বাঁচানো যাবে মানুষকে এমনটাই জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে।