Date : 2024-04-26

এই রেস্তোঁরাটিতে নেই মেনু কার্ড, ঢুকলে বলতে পারবেন না কথা…

ওয়েব ডেস্ক: খেতে বসে কথা না বললে বা একটু গল্প না করলে মন ভরে না, এমন বহু মানুষ আছেন। হ্যাঁ, খাওয়ার সময় কথা বলা খুব একটা স্বাস্থ্যকর কাজ নয়। এই কথাটা বলেন খোদ ডাক্তাররা।

তা বলে দেওয়ালের দিকে মুখ করে খেতে বসতে হবে? এ কেমন শাস্তি! জানেন কি পুনেতে একটি রেস্তোঁরা আছে, যেখানে আপনাকে খাওয়ার সময় কারোর সঙ্গে কথা বলতে দেবে না।

সারাদিনে বরাদ্দ চারটে লাড্ডু! খিদের জ্বালায় ডিভোর্সের মামলা স্বামীর…

এবং শুধু তাই নয়, সেখানকার টেবিল চেয়ারগুলি এমনভাবে বসানো যার দরুণ আপনাকে খেতে বসতে হবে দেওয়ালের দিকে মুখ করে। সেই রেস্তোঁরার লোকেরাও বিশ্বাস করেন যে, এইটাই খাবার খাওয়ার একমাত্র সঠিক ধরণ। তাই এই ব্যবস্থাপনা। এছাড়াও কারোর সঙ্গে ভাগ করতে পারবেন না আপনার খাবার। নেই কোনও মেনুও।

সকাল দুপুর রাত যে সময় আপনি গিয়ে পৌঁছবেন সেই অনুযায়ী খাবারের থালা আসবে আপনার সামনে। দোকানটির নাম, নাগপুর। তবে তারা খাবারের সঙ্গে কোনোদিনও আপস করেন না। টাটকা সবজি থেকে শুরু করে, মাংস সবই প্রশংশিত রেস্তোঁরার রোজের কাস্টোমারের কাছে। এখানকার বহুল প্রচলিত রান্নাগুলির মধ্যে কিছু হল, চিকেন বা মটন ফ্রাই ও ঝোল সঙ্গে অবশ্যই পোলাও, বাজরা বা জোয়ার ভাকরিস এইগুলি এখানে বিখ্যাত।

খুব শিঘ্রই বাতিল হতে চলেছে আপনার ডেবিট কার্ড…

তবে এখানকার সবথেকে মনে রাখার মতো গুন হল, এই রেস্তোঁরার খাবারে মেশানো হয় না কোনও নকল রং। রান্না করা হয় গ্যাসে নয় কয়লায়। আর যে বিষয়টি এই রেস্তোঁরাটিকে অন্য বাকিদের থেকে আলাদা করেছে তা হল এখানে নাগপুরি স্পেশাল মশলায় রান্না করা হয়। তবে এখানে খেতে হলে যেতে হবে হাতে সময় নিয়ে। কারণ কখনই ফাঁকা থাকেনা এখানকার জায়গা। খাবার শেষ হলেই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয় এই রেস্তোঁরার দরজা। তাই একদিন পারলে ঘুরেই আসুন না এই রেস্তোরা থেকে।