ওয়েব ডেস্ক: সমাজ এগোচ্ছে। বদল আসছে মানসিকতাতেও। আগের বছরই পাশ হয়েছে ৩৭৭ ধারা। সেই আইন অনুযায়ী সমকামী ও রূপান্তরকামীদের সমান অধীকার এখন তাদের কাম্য। আসামের জয়ীতা মণ্ডলের পর, আবারও বহরমপুরে বিচারকের ভূমিকায় দেখা মিলল একজন রূপান্তরকামীর। নাম, অরুনাভ নাথ।
রবিবার থেকেই কোর্টে বিচারকের আসনে দেখা মিলেছে অরুনাভর। এইদিন লোক আদালতে কিছু ব্যাঙ্কের ঋণ সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলার নিষ্পত্তি ঘটেছে তাঁর দ্বারা। তবে ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যল সার্ভিস অথরিটির সম্পাদক সুব্রত ঘোষের বক্তব্য খুলেছে এক নতুন পথ।
তাঁর মতে, “রূপান্তকামীরাও আমাদের সমাজেরই অঙ্গ। তাঁদের সঙ্গে আমাদের কোনও পার্থক্য নেই। তাই জন্যই সমাজকর্মী হিসেবে তাঁকে এই দিন লোক আদালতের সদস্য করা হয়েছিল”। তবে অরুনাভর এটা প্রথমবার নয়। আগেও জেলা লোক আদালতের বিচারকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে জেলা লোক আদালতের এই বিচারে বেশ খুশি অরুনাভ।
তিনি বলেছেন, ‘‘ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি আমাকে যে সম্মান দিয়েছে তাতে আমি খুশি। এত দিন সমাজের বহু লোকজন আমাদের অন্য নজরে দেখেছেন। উড়ে এসেছে নানা কটূক্তিও। তবে সময় বদলাচ্ছে। রূপান্তরকামীদের নিয়ে লোকজনের ধারণাও বদলাচ্ছে। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক দিক”।