ওয়েব ডেস্ক: কিছুদিন আগেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইএনটিটিইউসি-র সভায় একের পর এক কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ভারতীয় রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা ভেবে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের কথা আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। এমনকি রেল কর্মীদের একাংশ এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধীতা করেছেন। তবুও রেলের বেসরকারি করণের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারতীয় রেল। সূত্রের খবর এই বিষয় নিয়ে আগামী শুক্রবার দিল্লিতে বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারতীয় রেলের আধিকারিকরা। এই বৈঠকে থাকবেন একাধিক শাখার জেনারেল ম্যানেজার এবং প্রিন্সিপাল চিফ অপারেশন ম্যানেজাররা।
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে ভারতীয় রেলের বেসরকারি করণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই দু’জোড়া ট্রেন আইআরসিটিসি হাতে তুলে দিয়েছে ভারতীয় রেল। এবার হাওড়া, মুম্বই, চেন্নাই সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দূরপাল্লার এবং লোকাল ট্রেনগুলিকে তুলে দেওয়া হবে বেসরকারী সংস্থার হাতে। তাছাড়া সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে জানানো হয়েছে ভারতীয় রেলের আধুনিকীকরণের জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ কোটি টাকা খরচের প্রয়োজন।
আর সেই বিপুল পরিমাণ অর্থ এখনই ভারত সরকারের পক্ষে খরচ করা প্রায় অসম্ভব। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৈরি হয়েছে নতুন আশঙ্কা, বিভিন্ন রেল কর্মচারী সংগঠন গুলির বক্তব্য, এতে বাড়বে রেলের ভাড়া। একইসঙ্গে কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন রেলকর্মীরা। তার কারণ হিসেবে খরচ কমাতে কর্মী ছাটাইয়ের রাস্তায় যেতে পারে বেসরকারি সংস্থাগুলো। অন্যদিকে বিভিন্ন শ্রেণীর যাত্রীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে ছাড় পেয়ে থাকেন তা এই ক্ষেত্রে বলবৎ থাকবে কিনা তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তাই অনেকেই মনে করছেন শুক্রবারের এই বৈঠকের উপর নির্ভর করছে ভারতীয় রেলের ভবিষ্যৎ।