ওয়েব ডেস্ক: বাঙালির পাঁচদিনের মহাপার্বন শেষ হয়েছে গতকাল। ঠাকুর জলে ভাসিয়ে দিয়ে মনটা এখন সব বাঙালিরই ভারাক্রান্ত। কিন্তু বিজয়া দশমী মানেই কি পুজো শেষ? অনেকেই হয়তো জানেন, নবরাত্রী ব্যাপী দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পুজো শেষ হলে আসে বিজয়া দশমী। ত্রেতা যুগে এই দিনেই নাকি রামচন্দ্র রাবণকে বধ করে জয়লাভ করেছিলেন। একদিকে সারা দেশ জুরে পালিত হয় দশেরা উৎসব অন্যদিকে বাঙালির ঘরের মেয়ে উমা বিদায়ের প্রস্তুতি হয়। জল ছল ছল চোখে উৎসব প্রিয় বাঙালি বলে, “আসছে বছর আবার এসো মা”… কিন্তু এই দশমীর দিনেই আরাধনা শুরু হয় দেবীর অন্য একটি রূপের। শাস্ত্র মতে যিনি অপরাজিতা নামে পরিচিত।
একদিকে বিসর্জন অন্যদিকে বোধন। শারদীয়া শুক্ল পক্ষে পুজিত হন দেবী অপরাজিতা। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে উল্লেখ আছে, প্রাচীনকালে বিজয়া দশমীর দিনেই রাজারা যুদ্ধযাত্রা করতেন। তাতে নাকি তাঁদের বিজয় ছিল অবশ্যম্ভবী।পণ্ডিত রঘুনন্দন তাঁর ‘তিথিতত্ত্ব’ গ্রন্থেও একই কথা বলেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, রাজা যদি দশমীর পর যাত্রার সূচনা করেন, তাহলে তার জয় হয় না। তাই যুদ্ধে অপরাজেয় থাকতে এদিন যাত্রা করতেন রাজারা। আর বিজয়লক্ষীকে বরণের প্রত্যাশা নিয়েই করা হত অপরাজিতা পুজো। যে ধারা আজও বর্তমান।
জেনে নিন দেবী অপরাজিতার পুজা পদ্ধতি…..
একটি শ্বেত অপরাজিতা গাছের চারা গাছে বিজয়া দশমীর দিনে আহ্বান করা হয় দেবী অপরাজিতাকে। অনেকে আবার দেবী অপরাজিতার ঘটস্থাপনা করেন। আবার অনেকে দেবী অপরাজিতাকে নিজের দক্ষিণ হস্তে ধারণ করে প্রার্থনা করেন “সর্ব কার্যে বিজয় প্রদান করো।” পুরাণে এই দেবীর রূপ বর্ণিত আছে, দেবী স্বর্ণমেখলা পরিধান করেন। তাঁর দক্ষিণ হস্ত উন্মুক্ত বর প্রদান করেন। রামচন্দ্র রাবণ বধের পর এই বিজয় লাভ করে দেবী অপরাজিতার আহ্বান করেন। এই দিনেই নাকি পঞ্চ পাণ্ডব অজ্ঞাত বাস ত্যাগ করে কৌরবদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করার সংকল্প নেয়।