Date : 2024-04-20

১১ বছর পূর্ণ করল দুঃস্বপ্নের তিন দিন, ২৬/১১ এর শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন দেশবাসী…

ওয়েব ডেস্ক:- ভালো হোক কিংবা মন্দ, সময় কিন্তু থেমে থাকে না, থেকে যায় স্মৃতি। সময়ের সরণী বেয়ে কখনও কখনও সেই স্মৃতিই বয়ে নিয়ে যায় দগ্ দগে্ ক্ষত, প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা। ২৬/১১ শুনলে এখনও চমকে ওঠে মুম্বই। ভুলতে চাইলেও ফিরে আসে ১১ বছর আগের জঙ্গি হামলায় ক্ষত। মঙ্গলবার সকালে ২৬/১১-র ভয়াবহ স্মৃতিকে স্মরণ করে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন অসংখ্য মানুষ। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এদিন ট্যুইট শহীদ পরিবারের উদ্দেশ্যে সমবোদনা জ্ঞাপন করেন। শ্রদ্ধা জানান দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। এই তালিকায় ছিলেন, মঙ্গলবার সকালেই মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভের পুলিশ মেমোরিয়ালে গিয়ে শহিদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি ও মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এদিন জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করে ট্যুইট করেন। তিনি ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন। ‘মু্ম্বইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার ১১ তম বর্ষে শহিদদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’

ফের মেট্রোয় মরণ ঝাঁপ, চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা

উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু হামলায় শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বলেন, ‘মুম্বইয়ে ২৬/১১ সন্ত্রাসবাদী হামলার ফলে যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই, তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবোদনা রইল।’ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ২৬/১১-এর সন্ত্রাসবাদী হামলার শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন।

শহিদ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি লেখেন, নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে ওইদিন যাঁরা আমাদের বাঁচিয়েছিলেন তাঁদের আত্মবলিদানকে শ্রদ্ধা জানাই। শহিদদের পরিবারের প্রতি আমাদের মনে গভীর সমবেদনা রয়েছে। ভারতের প্রতি ঘরে জন্ম নেওয়া বীর সন্তানদের জন্যই দেশের শান্তি নষ্ট করার ক্ষমতা কোনও জঙ্গির নেই। ২৬/১১-এর ঘটনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হোটেল তাজ। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ৩ দিন ধরে মুম্বই জুড়ে তাণ্ডব চালায় জঙ্গিরা।

১ ফুটের ল্যাংচা! রসগোল্লার ফুটবল! পেল্লাই মিষ্টি দেখে চোখ ছানাবড়া শ্রীখণ্ডে

৯০ ঘণ্টায় মোট ন’বারের হামলায় মুম্বই এটিএসের যুগ্ম কমিশনার হেমন্ত কারকারে, অ্যাডিশনাল কমিশনার অশোক কামতে, ইন্সপেক্টর বিজয় সালাসকর, শশাঙ্ক শিন্ডে, এনএসজির মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণণ, বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য ও ৬ মার্কিন নাগরিক-সহ মোট ১৬৬ জনের প্রাণ যায়। গুরুতর জখম হন আরও ৩০০-র বেশি মানুষ। সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলার শিকার হয় দেশ।