ওয়েব ডেস্ক:- সারা গায়ে তুলোর মতো কালচে রঙের লোম, একরত্তি শরীরটা নিথর যদিও একটুও বিকৃতি ঘটেনি। বয়স খুব বেশি হলে ১৮ হাজার বছর। না তথ্য ভুল নয়, বয়স ১৮,০০০ বছর কিংবা তারও বেশি। সাইবেরিয়ার ঘন বরফের স্তরে এমনভাবেই অবকৃত অবস্থায় পড়েছিল কুকুর ছানাটি। কিন্তু ১৮ হাজার বছর পর কিভাবে মিলল তার সন্ধান? পূর্ব সাইবেরিয়ার ইয়াকুস্কের কাছে বরফে চাপা পড়েছিল কুকুরছানাটি। এক দম্পতি তাদের হারিয়ে যাওয়া কুকুরছানার সন্ধানে বেরিয়ে বরফের মধ্যে থেকে সন্ধান পান ১৮ হাজার বছরের পুরনো কুকুরছানার। প্রাণীটিকে দেখলে বোঝার উপায় নেই যে হাজার হাজার বছর ধরে বরফের স্তরে চাপা পড়ে আছে।
শরীরের প্রায় সব অংশই অবিকৃত রয়েছে। রেডিও কার্বন ডেটিং করে দেখা গেছে মৃত্যুর সময় ওই প্রাণীটির বয়স ছিল মাত্র ২ মাস। ‘সেন্টার ফর প্যালিওজেনেটিক্স’ অন্তত তেমনটাই জানিয়েছে তাদের রিপোর্টে। তুষার যুগে এমন লোমশ প্রাণী ঘুরে বেড়াত বিশ্ব জুড়ে। তবে প্রাণীটির দাঁত দেখে বিজ্ঞানীদের মত, প্রাণীটি নেকড়ের শাবক হতেও পারে।
নেকড়ে ও কুকুরের শংকর প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব তখন ছিল কিনা সেই বিষয়ও তথ্য সংগ্রহ করছেন পুরাতত্ত্ববিদরা।রাশিয়ার নর্থ-ইস্টার্ন ফেডারাল ইউনিভার্সিটিতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রাচীন যুগের প্রাণীদের নিয়ে গবেষণা চালান ড. সারগে ফেডোরভ।
তিনি বলেছেন, “আমাদের সেন্টারে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ডিএনএ ব্যাঙ্ক রয়েছে। তুষার যুগের প্রাণী হলেও তার ডিএনএ মিলিয়ে দেখার সুযোগ রয়েছে। তবে আমরাও প্রাথমিকভাবে এ প্রজাতি চিহ্নিত করতে পারিনি। মনে হয়েছে এটি কুকুরছানাই। আপাতত ছানাটিকে রাখা হয়েছে রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের হেফাজতে। নেকড়ে ও কুকুরের মাঝামাঝি ভেবেই প্রাণীটির নাম রাখা হয়েছে ‘ডগর’।