ওয়েব ডেস্ক:- পরনে ভদ্র পোশাক, মিষ্টিভাষী, শুধু ইচ্ছেটা একটু আলাদা। সারাজীবনে মোট ৭০০ বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল তার। সেই কারণেই বার বার নিজের নাম পরিচয় পরিবর্তন করে গেছেন। কখনও বা সরকারী কর্মী, কখনও আবার বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী। এভাবেই ঠকবাজি করতে করতে একাধিক মেয়েকে ঠকিয়েছেন, বিয়ে করেছেন তাঁদের। শেষে পুলিশের জালে পড়লেন ৩৫ বছর বয়সী যুবক জাকির। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।
তেঁজগাও থানার পুলিশ তাকে জেরা করে জানতে পারে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, তার মোট ৭০০ বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল। ২০০৫ সালে ২১ বছর বয়সে তিনি প্রথম বিয়ে করেন। এরপর ১৪ বছরে মোট ২৮১ টি বিয়ে করেন। প্রত্যেকটি নিজের পরিচয় বদলে। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, নামী দামী হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে ও ঘুরে ফিরে কাটাতেন জাকির। একাধিক বিয়ের জন্য পরিচয় বদলাতে সামাজিক মাধ্যমকে কাজে লাগাত জাকির। সেখানেই একাধিক মেয়ের সঙ্গে ভাব জমিয়ে নিত সে। তারপর সেখান থেকে বিয়ে করত তাদের।
বিয়েতে যথেষ্ট পরিমান অর্থ নিত সে। বিয়ের পর পাত্রীর বাড়িতেই থাকত জাকির। কিছুদিন পর সেখান থেকে জিনিস-পত্র হাতিয়ে নিয়ে পালাত সে। বিয়ের পরই পাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো রাখতেন মোবাইলে। পাত্রী তাঁর নামে অভিযোগ জানানোর উদ্যোগ নিলেই ভিডিয়ো ফাঁস করার ভয় দেখাতেন জাকির। প্রতারণা চক্র চালাতেন এই যুবক। নকল কাজি ও মৌলবিও এই চক্রে থাকত। এছাড়া কিছু মানুষকে নিজের মা,বাবা, কাকা, মামা সাজিয়ে রাখতেন। একজন মহিলা কিছুদিন আগে জাকিরের নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরই পুলিস তদন্তে নেমে জাকিরের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারে।