ওয়েব ডেস্ক:- সকালে উঠেই মহারাষ্ট্রবাসীর কাছে খবর আসে সমস্ত জল্পনার অবসান করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন বিজেপি বিজয়ী মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। কিন্তু কিভাবে! এই সমস্ত ঘটনার নেপথ্যে কাজ করেছেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার, খবর এসে পৌঁছায় শিবসেনার কাছেও। রাতারাতি তুলে নেওয়া হল রাষ্ট্রপতি শাসন। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ যে শনিবার সূর্যোদয়ের আগেই নির্ধারন হয় যাবে সে সম্পর্কে শুধু অবগত ছিল বিজেপি ও এনসিপি। রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদল কি তবে পূর্ব নির্ধারিত ছিল! ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
শিবসেনার পক্ষ থেকে অজিত পাওয়ারর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করলেও এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারকে সরাসরি কিছু বলা হয়নি। এনসিপির চাল একরাতে বদলে যাওয়ার ঘটনায় শিবসেনা শীর্ষ নেতা উদ্ধব ঠাকরে জানান, গতকাল রাত পর্যন্ত এনসিপির সঙ্গে সরকার গঠনের প্রসঙ্গে কথা হয় সেনার।
প্রতিটি বৈঠকেই এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে উপস্থিত থাকতেন তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ার। তবে গতকালের বৈঠকে অজিত পাওয়ারের আচরণ মোটেই সন্তোষজনক ছিল না শিবসেনার কাছে এমনটাই জানিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।
মহারাষ্ট্রের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন অজিত পাওয়ার, এমন অভিযোগ করেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি আরও বলেন, অজিত পাওয়ার একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আছেন, ওনার এখন আর্থার জেলে থাকা উচিৎ সেই ভয়েই বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে এনসিপি। শিবসেনাকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছে তারা, মহারাষ্ট্রের মানুষ এই বিশ্বাসঘাতকতাকে কখনও ক্ষমা করবে না। কংগ্রেসের পক্ষ প্রফুল্ল প্যাটেল বলেন, এটা এনসিপির সিদ্ধান্ত নয়, অজিত পাওয়ারর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হতেই পারে। তবে কংগ্রেসেই এই ধারনায় কার্যত জল ঢেলেছে শরদ পাওয়ার।
তিনি সাংবাদিক বৈঠকে উদ্ধব ঠাকরেকে পাশে বসিয়ে ফের একবার জানান, “শিবসেনার নেতৃত্বেই জোট করে সরকার গড়বে এনসিপি। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ একটি ফোন আসে। সেখান থেকেই বুঝতে পারি দলে বিদ্রোহ হয়েছে। অজিত পাওয়ার দলের কিছু বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছেন। অজিত পাওয়ারের সঙ্গে গিয়েছে ৮-১০ বিধায়ক। তবে এই ধাক্কা সামলে উঠব আমরা। আমরা তিন দল এক থাকব।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা জারি করে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হয়। এরপরই সকাল ৮টা নাগাদ রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশায়ারির ভবনে দেবেন্দ্র ফড়ণবিশকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন এনসিপি বিধায়ক অজিত পাওয়ার।